TET শেষের পরও হচ্ছে না বায়োমেট্রিক, ‘পরীক্ষা বাতিলের’ আশঙ্কায় ক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের

Biometric in TET: স্কুলের বন্ধ গেটের ভিতর থেকে তাঁরা বলছেন, পরীক্ষা শেষের পর তাঁদের বলা হয়েছিল বায়োমেট্রিক করানো হবে। সেই মতো অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি।

TET শেষের পরও হচ্ছে না বায়োমেট্রিক, 'পরীক্ষা বাতিলের' আশঙ্কায় ক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের
কী বলছেন ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা? (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2022 | 7:03 PM

কলকাতা: টেট পরীক্ষায় (TET 2022) এবার কড়াকড়িতে কোনও খামতি রাখেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে। তার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে ঢোকানোর ক্ষেত্রেও দেরি হচ্ছিল। আড়াই ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও সেই বায়োমেট্রিক নিয়ে সমস্যার অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল যোধপুর পার্কের তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনে। বায়োমেট্রিক ছাড়াই সেখানে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠল। আর এই নিয়েই পরীক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের চিত্র ধরা পড়ল।

পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য, টেট পরীক্ষা শুরুর আগে হাতে গোনা কয়েকজনের বায়োমেট্রিক করা হয়েছিল। বাকিদের বলা হয়েছিল, মেশিন খারাপ। পরীক্ষার পরে বায়োমেট্রিক করানো হবে। সেই মতো পরীক্ষার পরে ওই পরীক্ষার্থীরা বায়োমেট্রিক করানোর কথা বললে, তাঁদের কাছে আধ ঘণ্টা সময় চাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আধ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে যান। সেখানে গেলে, তাঁদের জানানো হয় বায়োমেট্রিক হবে না। একটি কাগজে বায়োমেট্রিক না হওয়া পরীক্ষার্থীদের নাম লিখে দিয়ে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ তাঁদের। আর তাতেই আপত্তি ও ক্ষোভ ওই পরীক্ষার্থীদের। ফলে পরীক্ষা মিটে যাওয়ার পরেও এখনও পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেই রয়েছেন ওই পরীক্ষার্থীরা।

অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, “আমাদের ১১টার মধ্যে ঢোকার কথা। অনেকের বায়োমেট্রিক হয়েছে, অনেকের হয়নি। অনেকেই সকাল সাড়ে ৯টা, ১০টার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল। ১১.০৫ নাগাদ সবাইকে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় অনেকেরই বায়োমেট্রিক হয়নি। আমাদের এখন বলছে, যেহেতু বায়োমেট্রিক করাতে গেলে পরীক্ষা দিতে দেরি হয়ে যেত, তাই আমাদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অন্য একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসে গিয়ে গিয়ে বায়োমেট্রিক করানো হয়েছিল।”

স্কুলের বন্ধ গেটের ভিতর থেকে তাঁরা বলছেন, পরীক্ষা শেষের পর তাঁদের বলা হয়েছিল বায়োমেট্রিক করানো হবে। সেই মতো অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রায় আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও কোনও সুরাহা হয়নি। পরে তাঁদের বলা হয়, বায়োমেট্রিক লাগবে না। এমনই দাবি ওই পরীক্ষার্থীদের। এমনকী তাঁদের একটি কাগজে সই করে চলে যেতে বলা হয় বলে দাবি। পরীক্ষার্থীদের দাবি, তাঁদের বায়োমেট্রিক করানোর ব্যবস্থা করানো হোক, নাহলে লিখিতভাবে তা জানানো হোক। পরীক্ষার্থীদের আশঙ্কা, বায়োমেট্রিক না হলে, তাঁদের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যেতে পারে। যদিও স্কুলের গেট বন্ধ থাকার কারণে এই বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

পরবর্তী সময়ে পর্ষদ সভাপতি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “তীর্থপতি ইনস্টিটিউটে হলে ছবি নেওয়া হয়েছে, আইডেন্টিটি কার্ড নেওয়া হয়েছে। টিম গিয়েছে। সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।” পর্ষদ সভাপতি সেই কথা জানানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান পর্ষদের একটি আধিকারিক দল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর শেষ পর্যন্ত শুরু হয় বায়োমেট্রিক নেওয়ার প্রক্রিয়া।