Governor C V Ananda Bose: ‘অনুতাপ করতে হবে…’, উপাচার্যদের বেতন বন্ধ নিয়ে রাজ্যের উপর ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

Governor C V Ananda Bose: সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, রাজ্য তথা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই এই নিয়োগ হয়েছে। সেই কারণে নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না।

Governor C V Ananda Bose: 'অনুতাপ করতে হবে...', উপাচার্যদের বেতন বন্ধ নিয়ে রাজ্যের উপর ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল
সিভি আনন্দ বোস ও ব্রাত্য বসু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2023 | 8:41 AM

কলকাতা: আরও একধাপ এগিয়ে কার্যত চরমে পৌঁছল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। সম্প্রতি যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose),তাঁদের উপাচার্য হিসেবে পারিশ্রমিক ও ভাতা না গ্রহণ করার নির্দেশ দিল উচ্চশিক্ষা দফতর। আর এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

রাজ্যপাল তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন যে, এটি সম্পূর্ণভাবে আদালতের বিচারাধীন বিষয়। এক্ষেত্রে হাইকোর্টই সব থেকে ভাল জানবে। কোর্টকে উপেক্ষা করে যাঁরা তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পরে তাঁদের অনুতাপ করতে হবে।

সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, রাজ্য তথা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই এই নিয়োগ হয়েছে। সেই কারণে নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকেরা উপাচার্য পদ যাতে গ্রহণ না করেন, সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। কেউ কেউ রাজ্যপালের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করলেও বেশিরভাগই তা গ্রহণ করেন। সেই উপাচার্যদের ক্ষেত্রে ভাতা ও পারিশ্রমিক না-নেওয়ার কথা বলেছে রাজ্য।

সোমবার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে,”শিক্ষা দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে করা এই অস্থায়ী নিয়োগ আইন মেনে হয়নি।” আরও বলা হয়েছে, “এই উপাচার্যদের নিয়োগ বৈধ নয়। তাই তাঁরা পারিশ্রমিক ও ভাতা তুলতে পারবেন না। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

শিক্ষাবিদ নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা অপমানজনক পরিস্থিতি। আচার্য যাঁদের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই অধ্যাপক। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন পড়াচ্ছেন। তাঁদের গবেষণার কাজ আছে। তাঁদের এমন অসম্মানজনক পরিস্থিতিতে ফেলা অবাঞ্ছনীয়।”

বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “রাজ্য-রাজ্যপাল মিলে মিশে চলাই হল কাম্য। কিন্তু সেটা এ রাজ্যে নেই দুর্ভাগ্যবশত। সেই কারণে দ্বন্দ্ব।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “এর আগে সরকার যাদের নিয়োগ করেছিল তাঁদের মধ্যে অনেকেই অযোগ্য। পোস্ট বাতিলের ভয়ে তাঁরা ইস্তফা দিয়েছিলেন।”