Recruitment Scam: হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের, নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল
Calcutta High Court: রাজ্য কেন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এই পদক্ষেপকে ‘তৃণমূল সরকারের বিলাসিতা’ বলে কটাক্ষ করেন আইনজীবী তথা বামনেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
কলকাতা: নতুন করে শাসক দলের একাধিক নেতার নাম উঠে এসেছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। এসএসসি বা প্রাথমিক নিয়োগ নয়, জিটিএ অর্থাৎ পাহাড়ের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আবারও নতুন মামলায় নাম উঠে এসেছে জেলবন্দি প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নাম রয়েছে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ একাধিক তৃণমূল নেতার। মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ দেওয়ার পরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তবে ডিভিশন বেঞ্চেও বড়সড় ধাক্কা খেতে হল। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।
শুক্রবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় রায় দিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলছিল। সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনেন বিচারপতি। কেন সিবিআই অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই, তা জানতে চাওয়া হয়। রাজ্যের কাছে ওই নিয়োগ সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়। সব দেখার পর শুক্রবার রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য কেন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এই পদক্ষেপকে ‘তৃণমূল সরকারের বিলাসিতা’ বলে কটাক্ষ করেন আইনজীবী তথা বামনেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আইনি অধিকার হলেও, নীতির প্রশ্ন আছে। দুর্নীতি হয়েছে, তদন্ত হবে। জনগণের পয়সায় মামলা করে অপচয় করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, সিআইডি-র হাতে একটি চিঠি আসে, তাতেই পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগের কথা জানানো হয়েছিল। সেই চিঠিতেই উঠে এসেছিল শাসক দলের একাধিক নেতার নাম।