Health Department Guidelines: মৃতদেহ নিয়ে যেতে ‘অসহায়’ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে হাসপাতালকে, নির্দেশিকা সরকারের
Health Department Guidelines: এখন থেকে যে সকল মৃতের পরিবারের শবদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য থাকবে না তাঁদের জন্য স্থানীয় পুরসভা, পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে গাড়ির ব্যবস্থা করবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সুপার। নির্দেশ এমনই।
কলকাতা: জীবন শেষেও শেষ কথা বলে টাকাই। সৎকারের পথেও বড় বাধা হতে পারে টাকার অভাব। বিগত কয়েক মাসে রাজ্যের বুকে উঠে আসা একের পর এক ছবিতে সেই মর্মান্তিক সত্যিটাই যেন আরও সত্যি হয়ে উঠেছে। কখনও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) তো কখনও দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur)। মৃতদেহ (Dead Body) বহনের ক্ষেত্রে প্রায়শই সামনে এসেছে নানা হৃদয়বিদারক ছবি। শববাহী যানের টাকা জোগাড় করতে না পেরে জলপাইগুড়ি কাঁধে চাপিয়ে মায়ের দেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল ছেলেকে। সঙ্গী বাবা। অন্যগিকে কদিন আগেই টাকার অভাবে অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে মৃত শিশুকে ব্যাগে করে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে আসতে দেখা যায় অসহায় বাবাকে।
এখন থেকে যে সকল মৃতের পরিবারের শবদেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স বা শববাহী গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য থাকবে না তাঁদের জন্য স্থানীয় পুরসভা, পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে গাড়ির ব্যবস্থা করবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের (Hospital) সুপার। গাড়ি ছাড়া দেহ হস্তান্তর করা যাবে না। সাফ জানিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। জারি হল নির্দেশিকা। এমনকী ওই নির্দেশিকাতেই সাম্প্রতিককালে রাজ্যে দেখা যাওয়া এ ধরনের একাধিক ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় স্বাস্থ্য দফতরকে। সাফ লেখা হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটছে রাজ্যে। টাকার অভাবে যেভাবে মৃতদেহ বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাতে সমাজের উপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিরূপ প্রভাব পড়ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভাবমূর্তির উপর।
একইসঙ্গে পুরসভা এবং হাসপাতালের মধ্যে যে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে তাও এই রিপোর্টে একপ্রকার স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সে কারণেই আগামীদিনে হাসপাতালগুলির সুপারকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যাতে কোনওভাবেই কোনও মৃতদেহ অসম্মানজনকভাবে বহন করা করা না হয়। যদি কোনও পরিবারের অ্য়াম্বুলেন্স বা শববাহী যানে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য না থাকে তাহলে দেহ দেওয়া যাবে না। গাড়ি নিশ্চিত করে তবেই গাড়ি দিতে হবে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা গাড়ি জোগাড় করতে না পারলে গাড়ি দেবেন হাসপাতালের সুপার। নির্দেশ এলেও আগামীদিনে এই নির্দেশিকা কতটা কার্যকরী হয় এখন সেটাই দেখার।