RG Kar Case: ‘আরজি কর হাসপাতালটাই বন্ধ করে দিচ্ছি’, কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির
RG Kar Case: আরজি করের পরিস্থিতির জন্য শুক্রবার হাইকোর্টে রীতিমতো ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। পুলিশের ব্যর্থতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত।
কলকাতা: তিলোত্তমার মৃত্যুর ঘটনায় যখন ফুঁসছে গোটা দেশ, তারই মধ্যে ঘি ঢেলেছে বুধবার রাতের ঘটনা। ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে আরজি করের ইমার্জেন্সি বিভাগ। ভেঙে দেওয়া হয়েছে আন্দোলনকারীদের মঞ্চ। পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেই অভিযোগ। সেই ঘটনার পর এবার কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। ‘আরজি কর হাসপাতালটাই বন্ধ করে দেওয়া ভাল। সব রোগীদের অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে এমনটাই বললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
বুধবার রাতের ঘটনায় রাজ্য তথা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কার্যত বিরক্ত আদালত। এদিন শুনানির শুরু থেকেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা কোথায়? এভাবে কি আদৌ হাসপাতাল চালানো সম্ভব। এদিন প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলে দেন, আরজি করের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিন্দনীয়। আদালত প্রশ্ন তুলেছে, ১০০ জন লোক জড় হলেও পুলিশের কাছে খবর থাকা জরুরি, তাহলে ৭০০০ লোকের উপস্থিতি কেন জানতে পারল না হাইকোর্ট।
এই বার্তা যে চিকিৎসক মহল তথা সমাজের কাছে খুব একটা ভাল বার্তা নয়, তেমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকেরা। ভাইরোলজিস্ট ড. সুমন পোদ্দার বলেন, “একটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটা ভাল বার্তা নয়। যেভাবে পরিস্থিতি পুলিশের হাতের বাইরে চলে গেল, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।” বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ এই পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে বলেন, “আদালত জানে যে আরজি কর হাসপাতাল বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু পরিস্থিতি বিচার করেই এ কথা বলেছেন প্রধান বিচারপতি। এটা রাজ্যের গালে থাপ্পড় বলতে পারেন। আমরা রাজ্যের কাছে আর কিছু আশা করছি না। মানুষ এবার এই সরকার পরিবর্তন করুক।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাত হাজার লোক সামলাতে পারেনি রাজ্য।’ অন্যদিকে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “এটা সাতহাজার লোক হতেই পারেনা, ৭০-৮০ জন ছিল। চিকিৎসকদের সামিয়ানা ভেঙে তারা পুলিশের আউটপোস্ট ভেঙে ভিতরে ঢোকে। পুলিশ লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়। পুলিশ বলছেন, খবর ছিল, কিন্তু কিছু করা সম্ভব ছিল না, কারণ এত লজিস্টিক সাপোর্ট ছিল না। এই ঘটনার তদন্ত করুক সিবিআই।” আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীও বলেন, “রাজ্য যে সাত হাজার লোকের কথা বলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
এদিকে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী জানান, সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেও ঘেরাও হয়েছিল গত ১৪ ও ১৫ অগস্ট। কেউ সাহায্য করেনি।