Calcutta High Court: জিনস পরে আদালত কক্ষে হাজির, বিচারপতির ধমক খেয়ে ১০ মিনিটে পোশাক বদল
Calcutta High Court: লিখিত না হলেও অলিখিতভাবে কিছু নিয়ম মেনে চলা হয় আদালত সহ অনেক ক্ষেত্রেই। তাই এই পোশাক অনভিপ্রেত বলেই মত বিচারপতির।
কলকাতা : শিক্ষিকা এক বছর ধরে অকারণে বেতন পাচ্ছেন না। চাকরি বহাল রাখার জন্য কার্যত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। কেন শিক্ষিকার সঙ্গে এমনটা হল, তা জানতেই সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট স্কুলের ম্য়ানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষককে। এ দিন যথাসময়ে আদালতে হাজির হন তাঁরা দুজন। কিন্তু স্বপন চক্রবর্তী নামে ম্য়ানেজিং কমিটির ওই সদস্যের পোশাক দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবিলম্বে পোশাক বদল করতে বলেন তাঁকে। ১০ মিনিটের মধ্যে পোশাক বদল করে আসতে হয় স্বপনবাবুকে।
জিন্স আর টি-শার্ট পরেই এ দিন আদালত কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন স্বপন চক্রবর্তী। আর তা দেখেই এ দিন ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। হাই কোর্টের নির্দেশেই তিনি আদালতে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সাদা, সবুজ টি শার্ট দেখে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি পোশাক বদল করে আসার পর শুরু হয় শুনানি।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগেই এই মামলা হয়। বিচারপতি উল্লেখ করেন, আদালতে ডেকোরাম বা রীতি না মেনে ওই পোশাক পরা হয়েছে। প্রথাগত পোশাক কেন পরা হয়নি সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। এরপরই আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান স্বপনাবাবু। কিন্তু পোশাক কোথায় পাবেন? তাঁর সঙ্গে এক ব্যক্তি এ দিন আদালতে এসেছিলেন। তাঁর জামাটাই পরে নেন স্বপনবাবু। নিজের টি-শার্ট দিয়ে দেন তাঁকে। পোশাক বদলের পর শুরু হয় শুনানি।
আদালতে নির্দিষ্ট কোনও পোশাক পরার কথা বলা হয় না ঠিকই। তবে অলিখিত রীতি মেনে পোশাক পরাই কাম্য বলে মনে করছে আইনজীবী মহল। এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত বলেন, ‘ম্য়ানেজিং কমিটির একজন সদস্য যখন কোথাও যাবেন, তখন তাঁর পোশাকের একটা ন্যুনতম ভদ্রতা থাকা উচিত।’ কাউকে হাজিরা দিতে বলা হলে, তাঁর কাছ থেকে একটা ন্যুনতম শৃঙ্খলা কাম্য বলেই উল্লেখ করেন প্রাক্তন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘পোশাক থেকে চলাফেরার ভঙ্গি, প্রত্যেক জায়গাতেই অলিখিতভাবে সেগুলো মেনে চলা উচিত। সর্বত্রই সেটা প্রযোজ্য।’
আরও পড়ুন : Asansol Bi Election: শত্রুঘ্নকে ‘খামোশ’ করতে পারবেন অগ্নিমিত্রা? ১২ এপ্রিল জবাব দিতে তৈরি বিজেপি প্রার্থী