High Court on Murder Case: জোড়া খুনের ফুটেজ হারিয়েই ফেলেছেন BDO! শুনেই ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

High Court on Murder Case: আদালতে সেই জোড়া খুনের মামলা চলাকালীন বিডিও-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। রাজ্য এই মামলায় জানিয়ে দেয় যে, বিডিও-র কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বিডিও জানান তাঁর কাছে নেই।

High Court on Murder Case: জোড়া খুনের ফুটেজ হারিয়েই ফেলেছেন BDO! শুনেই ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2023 | 6:23 PM

কলকাতা: নির্বাচনী আবহে খুন হয়েছিলেন দুই রাজনৈতিক কর্মী আর সেই ফুটেজ হারিয়ে ফেললেন বিডিও! এমন তথ্য শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করল আদালত। বিডিও-কে মামলার অংশ হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সিসিটিভি ফুটেজ যেহেতু বিডিও-র অধীনে থাকে, তাই সে বিষয়ে তাঁকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে, মামলাকারীরা জানান, তাঁরাই ফুটেজ জোগাড় করেছেন। সেই ছবি মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। গত জুলাই মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে খুন হন দুজন। প্রথমে মৃত্যু হয় সামসুল হক নামে এক তৃণমূল কর্মীর ও পরে জামারুদ্দিন নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার আদালতে সেই জোড়া খুনের মামলা চলাকালীন বিডিও-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। রাজ্য এই মামলায় জানিয়ে দেয় যে, বিডিও-র কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বিডিও জানান তাঁর কাছে নেই। চিপ হারিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন বিডিও। ওই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ কথা শুনে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “সিসিটিভি যদি বিডিও-র অধীনে থাকে তাহলে তিনি নেই বলে দিলেই হল!” বিডিও-কে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, “এটা গুরুতর বিষয়। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। চিপ হারিয়ে গেলে যাঁর দায়িত্বে ছিল, তাঁকেই ভুগতে হবে। সরকারি সিসিটিভি ফুটেজের চিপ খুঁজে বের করতে বলুন। না হলে বিপদে পড়তে হবে সবাইকে।”

মৃতের পরিবারের আইনজীবী জানান, তাঁরা সব সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়াতেই সে সব ঘুরছে। কীভাবে প্রকাশ্যে খুন করা হয়েছে, তা সবাই দেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ, মামলাকারীর কাছে কোনও ভিডিয়ো ফুটেজ থাকলে তা মামলায় যুক্ত করতে হবে। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে সরাসরি তদন্তে নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে।