Pathuriaghata Death: পাথুরিয়াঘাটায় বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে মৃত্যু মহিলার, গুরুতর জখম ২
Pathuriaghata Death: জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগেই ওই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। তারপরও সংশ্লিষ্ট বাড়িটিতে অনেকেই বসবাস করছিলেন। এক কথায় মরণ ফাঁদ ছিল বাড়িটি। আর সেই দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল একজনের।
কলকাতা: উত্তর কলকাতায় বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে মৃত্যু মহিলার। গুরুতর জখম দু’জন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে একটি পুরনো ৫ তলা বাড়ির তিন তলার বারান্দার একটি অংশ ভেঙে পড়ে আটকে পড়েন তিনজন। তারপর তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহিলার মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগেই ওই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। তারপরও সংশ্লিষ্ট বাড়িটিতে অনেকেই বসবাস করছিলেন। এক কথায় মরণ ফাঁদ ছিল বাড়িটি। আর সেই দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল একজনের।
বৃহস্পতিবার মধ্য রাত্রিবেলা পাঁচতলা বাড়িটির একটি অংশ ভেঙে পড়ে আটকে পড়েন এক দম্পতি ও এক কিশোর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তাদের প্রয়াসে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা গেলেও প্রায় চার ঘণ্টা ধ্বংসস্তুপের নীচে আটকে ছিলেন দম্পতি। এলাকায় পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর ইলোরা সাহা। তিনি বলেন, “এখানে অনেক বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। বাড়িওয়ালাকে অনেকবার বলা হয়েছে। কোনও কথাই কানে তোলে না। তবে থানা থেকে শুনলাম বাড়িওয়ালা নাকি একবার এসেছিলেন। আলোচনাও করেছেন কিন্তু তারপরও কোনও কাজ হয়নি।”
উদ্ধারের পর তাঁদের দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় মহিলার। ওই বাড়িতে বসবাসকারী অন্যান্য বাসিন্দাদের দাবি, পুরসভার তরফে বিপজ্জনক বাড়ি ঘোষণা হলেও তাঁরা বাড়িটিকে সারাই করার জন্য বাড়ির মালিককে বারংবার বলেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
প্রসঙ্গত, পুরসভা বাড়িগুলিকে বিপজ্জনক ঘোষণা করলেও বসবাসকারীদের অবস্থা এতটাও সচ্ছ্বল ছিল না যে তাঁরা সেখান থেকে উঠে অন্য কোথাও চলে যাবেন। আর উত্তর কলকাতার এই ধরনের বাড়িগুলিতে অনেক মানুষ ভাড়া থাকেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটের এই বিবাদেই প্রাণ গেল ওই মহিলার। অপরদিকে, আঙুল উঠছে পুরসভার দিকেও। বিপজ্জনক বাড়ি ঘোষণা করার পরও কীভাবে বাড়িগুলিতে মানুষ বসবাস করেন তা নিয়ে পুরসভা বা প্রশাসনের কেন নজর ছিল না? প্রশাসন আরও সতর্ক থাকলে এই মর্মান্তিক ঘটনা এড়ানো যেত বলেও মনে করছেন এলাকাবাসীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “এই বাড়িতে এখন যাঁরা আছেন তাঁদের কাউকেই আর এখানে থাকতে হবে না। বাইরে যে চাতাল আছে সেখানে টিনের ছাউনি করে দেওয়া হবে। হয়ত কষ্ট হবে, কিন্তু তাদের জীবনটা বেঁচে যাবে।”