Gopal Dalapati Exclusive Interview : কীভাবে হয়েছিল চিটফান্ডে হাতেখড়ি, কীভাবে পড়েছিলেন পুলিশের ফাঁদে; সেই কাহিনি শোনালেন গোপাল

Gopal Dalapati Exclusive Interview : প্রাইভেট টিউশন করতে করতেই যোগ দিয়েছিলেন একটি বিমা কোম্পানিতে। যদিও গোপালের দাবি, “বেশিদিন সেখানে কাজ করতে পারিনি। তারপর অন্য একটা কোম্পানিতে যোগ দিই। সেখান থেকে ফ্ল্যাট গাড়ি সব দেয়। ভাল বেতনও দেয়।”

Gopal Dalapati Exclusive Interview : কীভাবে হয়েছিল চিটফান্ডে হাতেখড়ি, কীভাবে পড়েছিলেন পুলিশের ফাঁদে; সেই কাহিনি শোনালেন গোপাল
গোপাল দলপতি
Follow Us:
| Updated on: Feb 25, 2023 | 9:14 PM

কলকাতা : গ্রাম থেকে শহরে এসে ধরেছিলেন সংসারের হাল। বসেছিলেন বাবার পানের দোকানে। ছোট থেকেই মাথা ভাল অঙ্কে। দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চালিয়েছেন কোচিং। উপার্জনও হয়েছে প্রচুর। সেই গোপালই একসময় জড়িয়েছিলেন চিটফান্ড কাণ্ডে। গিয়েছেন জেলেও। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সকলের নজর এখন এই গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) দিকেই। কিন্তু, প্রাইভেট শিক্ষক হিসাবে ভাল উপার্জন থাকার পরও কেন গিয়েছিলেন অন্য পেশায়? এ প্রশ্নের উত্তরে খানিক হতাশার সুর গোপালের গলায়। টিভি-৯ বাংলার (TV-9 Bangla) এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “কোচিংয়ে পড়িয়ে অনেক টাকা কামিয়েছি। ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসে কামিয়েছি। কিন্তু, সামাজিক সম্মান পাচ্ছিলাম না। বিয়ের কথা উঠলেই লোকে বলত টিউশন পড়ায় এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। তখন থেকেই ভাবি ব্যবসা বা অন্য কিছু একটা করার।”

প্রাইভেট টিউশন করতে করতেই যোগ দিয়েছিলেন একটি বিমা কোম্পানিতে। যদিও গোপালের দাবি, “বেশিদিন সেখানে কাজ করতে পারিনি। তারপর অন্য একটা কোম্পানিতে যোগ দিই। সেখান থেকে ফ্ল্যাট গাড়ি সব দেয়। ভাল বেতনও দেয়। আমার কাজ ছিল ব্যবসার নানাবিধ কাজ দেখাশোনা করা। ঠিকঠাকই কাজ চলছিল। ২০১০ সালে কোম্পানির কাজের জন্য ত্রিপুরায় যেতে বলে।” ততক্ষেণে তাঁদের কোম্পানির ঠিকুজি-কুষ্ঠি সবই চলে গিয়েছে পুলিশের হাতে। উদ্বেগ বেড়েছে সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে।

এই ত্রিপুরাতেই গোপালের জন্য ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ। প্রথম হাজতবাসের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে গোপাল বলেন, “সেখানে যেতেই পুলিশ আমাকে আটক করে। ১৪ দিনের মাথায় কিছু প্রমাণ না পেয়ে আবার ছেড়েও দেয়। ২০১২ সালের শেষ দিকে নানারকম আর্থিক ঝামেলার কারণে এই ধরনের সংস্থাগুলি ঝাঁপ বন্ধ করতে শুরু করে দেয়। আমাদের কোম্পানিও টাকা তোলা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে কোম্পানি বন্ধ হয়নি। এখনও চালু আছে। আমি ওই সময় ওই সংস্থা ছেড়ে দিই। সংস্থার মাথাদেরও সে কথা জানিয়ে দিই। ২০১৩ সালের ৪ মার্চ আমি পাকাপাকিভাবে কোম্পানি ছাড়ি।”

যদিও পদত্যাগপত্র জমা দিলেও পুলিশের নজর তখনও ছিল তাঁর উপর। যদিও ততদিনে দ্বিতীয়বার সংসার পেতেছেন তিনি। ২০১৩ সালের পর ফের ২০১৮ সাল। গোপাল বলেন, “আমি রেজিগনেশন দিলেও ২০১৩ সালের পর থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে কেস হতে শুরু করেছে। কখনও সেবি করছে। কখনও অন্যান্য সংস্থা করছে। ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর ফের আমাকে গ্রেফতার করা হয়।” কিন্তু, ওই যে রাখে হরি মারে কে! গোপাল রইলেন গোপালেই। চিটফান্ডের জল খেয়ে ততদিনে অন্য নেশায় পেয়ে বসেছে তাঁকে। নজর ঘুরেছে চাকরির কারবারে। এমনই দাবি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তথা মিডিলম্যান কুন্তল ঘোষের।