CM Mamata Banerjee: ৪০ দিনে ১৫ ধর্ষণ! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কীভাবে ঠেকাবে রাজ্য?

CM Mamata Banerjee:ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজ্যে খুন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাতে চিন্তা বেড়েছে সরকারের।

CM Mamata Banerjee: ৪০ দিনে ১৫ ধর্ষণ! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কীভাবে ঠেকাবে রাজ্য?
ছবি - কীভবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাবে রাজ্য সরকার?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 10:11 PM

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) জমানায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। সে তো রাজনীতির কথা। আমজনতার মনের কথা বোধহয় বলেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। পরপর কয়েকটি ধর্ষণ নিয়ে তাঁর মন্তব্য, “এই ধরনের ঘটনা কথা আগে দিল্লি বা অন্য রাজ্য থেকে শুনতাম, এখন এরাজ্যেও ঘটছে। রাজ্যে পরিকাঠামো সত্ত্বেও বারবার কেন এরকম হচ্ছে! খুবই দুর্ভাগ্যজনক! আমি বাকরুদ্ধ”! অন্যদিকে, ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রাজ্যে খুন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাতে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের অন্দরেও।

বিরোধীরা বলছেন, খুন-ধর্ষন-শ্লীলতাহানি নিয়ে ঠিক তথ্য দেয় না রাজ্য সরকার (State Government)। অনেক ক্ষেত্রেই ভয় দেখিয়ে অভিযোগ করতেই দেওয়া হয় না। বিরোধিতাকে বন্ধ করা হয় হামলায়। এদিকে মমতা জমানায় ১ থেকে বেড়ে পুলিশ কমিশনারেট এখন ৭। পুলিশ জেলা ২০ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮। থানার সংখ্যা ৪২৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৩৩। বেড়েছে মূলত শহর এলাকায়। তবে, ২০১১ সালে প্রতি ১৫১৪ জনে পুলিশ ছিল ১জন, ২০২০-তে তা কমে হয়েছে ৬৩৫। তাতেও কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না? প্রাক্তন পুলিশ কর্তারা বলছেন, এসআই, এএসআই, কনস্টেবলরাই মাঠে নেমে আইনশৃঙ্খলা সামলান। তাঁরাই বাহিনীর মেরুদণ্ড। কিন্তু ওই তিন পদে ওই সব ক্ষেত্রে শূন্যপদ ক্রমশ বাড়ছে। ২০১১ তে যা ছিল ৯৫০৬, ২০২০ সালে তা ৩৩৪৬৫। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়োগ করা হয়েছে ৬০-৭০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার।

পুলিশ শাসকের হাতের পুতুল। মমতা সরকারের (Mamata Government) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বারবার তুলেছে বিরোধীরা। বাম জমানায় একই অভিযোগ তুলত তৃণমূল। এখন বিরোধীরা বলছে, এসপি মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন, পুলিশকে দিয়েই পার্টির কাজ সামলানো হচ্ছে, পার্টির ভোট মেশিনারি সামলাচ্ছে পুলিশই, এমনটা আগে দেখা যায়নি। প্রমাণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ১০৮ পুরসভার মধ্যে তৃণমূল হেরেছে শুধু তাহেরপুরে। ফল বেরনোর দিনই বদলি করা হয় সেখানকার ওসি-কে। তৃণমূলকে জেতানোর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাই বদলির কারণ বলে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। সাম্প্রতিক কালে বগটুই গণহত্যা বাংলার পাশাপাশি নজর কাড়ে দেশের রাজনৈতিক মহলেরও। অস্বস্তি বাড়ে শাসক শিবিরের। এদিকে বগটুই গণহত্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। আনারুলের রাশ কার হাতে, তা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আর রামপুরহাটের বিধায়ক, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই খেলায় সরকারের মুখ পুড়ছে। সহজ কথায় লাগাতার আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার অভিযোগ ওঠে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তবু তাঁর হাতেই তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন মানুষ। এখন দেখার আগামীতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি কীভাবে ঠেকান মমতা।