Jadavpur University: ‘কোথাও পালাইনি, যাদবপুরেই আছি’, টিভি-৯ বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বললেন ‘নিখোঁজ’ গৌরব

Jadavpur University: ঘটনার কথা কখন জানতে পেরেছিলেন গৌরব? তিনি বলছেন, “আমি এক প্রাক্তনীর কাছ থেকে খবর পাই। জানতে পারি হস্টেলে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। তখন ১২ টা ৫-১০ হবে। আমি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে যাই।”

Jadavpur University: ‘কোথাও পালাইনি, যাদবপুরেই আছি’, টিভি-৯ বাংলাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বললেন ‘নিখোঁজ’ গৌরব
গ্রাফিক্স- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2023 | 10:16 PM

কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুতে তিন অভিযুক্ত সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, গ্যাং-এ আর কে কে আছে তা খুঁজে বের করতে জোরকদমে তদন্ত করছে পুলিশ। মাঠে নেমেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির নজরে দুই ফেটসু নেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু ও গৌরব দাস। সূত্রের খবর, যাদবপুরের যে কোনও আন্দোলনে বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রথমসারিতে থাকতে দেখা গিয়েছে এই দুই নেতাকে। সূত্রের খবর, হস্টেল সুপার তদন্ত কমিটিকে জানিয়ে এসেছেন হস্টেলে এই দুই নেতাকে প্রায়শই দেখা যেত। অথচ এখন দুজনেই ‘বেপাত্তা’। খোঁজ মিলছে না কারও। এরইমধ্যে টিভি-৯ বাংলা কথা বলে ফেলল নিখোঁজ গৌরব দাসের সঙ্গে। এই গৌরব দাসই যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সংসদ ফেটসুর জেনারেল সেক্রেটারি। অন্যদিকে বর্তমানে ফেটসুর চেয়ারপার্সনের পদে রয়েছেন অরিত্র। বিতর্কের মধ্যে ইতিমধ্যে পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গৌরব। টিভি-৯ বাংলাকে তিনি সাফ জানালেন, তিনি কোথাও যাননি। যাদবপুরেই আছেন। কিন্তু, ‘অরিত্রদার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।’

ঘটনার কথা কখন জানতে পেরেছিলেন গৌরব? তিনি বলছেন, “আমি এক প্রাক্তনীর কাছ থেকে খবর পাই। জানতে পারি হস্টেলে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। তখন ১২ টা ৫-১০ হবে। আমি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে যাই।” তবে তিনি সাফ জানাচ্ছেন, ওই সময় তিনি হস্টেলে ছিলেন না। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। তিনি সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি করছেন। কিন্তু, এই বিতর্কের মধ্যে আচমকা পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কেন তিনি? গৌরব বলছেন, “RAGGING মুক্ত ক্যাম্পাস করতে পারিনি। চারদিকের রাজনৈতিক তরজা। আমি তাই ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছি।” 

এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে একটি ভাইরাল চ্যাট নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘ছেলেটা পড়ে যাওয়ার পর একটা জিবি ডাকা হয়। ছেলেটা বেঁচে যেত যদি ওকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত। কালেক্টিভের লোকজন বিশেষ করে আলু, শিট এরা দরজা বন্ধ করে দিল। ওরা আমাদের নির্দেশ দিল কেউ যাতে হস্টেলের কথা বাইরে লিক না করে। এটা হস্টেলের বিষয়, হস্টেলেই মেটাতে হবে।’ এই চ্যাট বাইরে আসার পর থেকেই প্রশ্নের মুখে ফেটসুর একের পর এক তাবড় তাবড় ছাত্র নেতা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায়।