Arabul Islam: কলকাতার জলাভূমিতে রমরমিয়ে চলছে অবৈধ নির্মাণ, ‘শাসকদলের হাত নেই’, বলছেন আরাবুল
Arabul Islam: খানে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সেই এলাকায় একের পর এক ওয়েটল্যান্ড তথা জলাভূমি বুজিয়ে কীভাবে অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠছে? স্থানীয় প্রশাসন, পঞ্চায়েত থেকে ভূমি রাজস্ব দফতর কী করছে? উঠছে প্রশ্ন।
কলকাতা: আবারও পূর্ব কলকাতার জলাভূমি তথা ওয়েটল্যান্ডে অবৈধ নির্মাণ। অভিযোগ, কলকাতার লেদার কম্পলেক্স থানা এলাকার বানতলায় বাসন্তী হাইওয়ের উপরে সুবিশাল পাঁচিল দিয়ে অবৈধ নির্মাণ কাজ চলছে রমরমিয়ে। মূলত ওয়েটল্যান্ডর জলাভূমি বুজিয়ে কলকাতার উপকন্ঠে পাঁচিল তুলে চলছে অবৈধ নির্মাণ। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা দেখতেই ছুটে পালালেন নির্মাণকারীরা।
কলকাতার উপকন্ঠে এই ভাবে অবৈধ নির্মাণ কীভাবে চলছে তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের মদতে এই অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠছে। এ বিষয়ে সরব হয়েছেন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। তিনি এই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে এক শ্রেণির প্রোমোটারদের দিকে আঙুল তুলেছেন। আরাবুল বলছেন, এভাবে যাতে কাজ না হয় আমরা দলগতভাবে চেষ্টা করছি। কিছু প্রোমোটাররা নিজে নিজে এ ধরেনর কাজ করছে। দিনে বন্ধ রেখে রাতে করছে। খবর পেলেই আমাদের ছেলেরা গিয়ে কাজ বন্ধ করারর চেষ্টা করছে। আমি প্রশাসনকেও বলছি। নিজেরাও দেখছি। আমি আরও খোঁজ-খবর নেব। আমি আইসিকেও বলেছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
এখন প্রশ্ন উঠছে, যেখানে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সেই এলাকায় একের পর এক ওয়েটল্যান্ড তথা জলাভূমি বুজিয়ে কীভাবে অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠছে? স্থানীয় প্রশাসন, পঞ্চায়েত থেকে ভূমি রাজস্ব দফতর কী করছে? তারা কেন হাত গুটিয়ে বসে আছে? তা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কী এই সমস্ত অবৈধ নির্মাণ শুধুমাত্র পুলিশ প্রশাসন নয়, ওয়েটল্যান্ড অথরিটি থেকে শুরু করে সমস্ত দফতর এবং শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদতে অবাধে অবৈধ নির্মাণ তৈরি হচ্ছে? প্রশ্ন থেকেই গেল। এখন দেখার কবে হুঁশ ফেরে প্রশাসনের। সরব হয়েছে বিরোধীরাও। যদিও তাঁদের পাল্টা আক্রমণ করে আরাবুল বলেন, ওরা নিন্দুক। ওরা এসব বলেই। কিন্তু, এর সঙ্গে শাসকদলের সম্পর্ক নেই। শুধু এক শ্রেণির প্রোমোটাররাই দায়ী।