ISF: ভাঙড়ে কেন তেজ কমল ISF-এর? আরাবুলহীন ভাঙড়ে তলায় তলায় কাজ করল কোন ফ্যাক্টর?

ISF: মথুরাপুর আসনে সিপিআইএমকে পিছনে ফেলে তৃতীয় হয়েছে আইএসএফ। একইভাবে জয়নগর আসনেও আরএসপিকে পিছনে ফেলেছে নওশাদ সিদ্দিকির দল। তবে  অদ্ভুতভাবে আইএসএফের গড়, ভাঙড়ের ফলটা যেন একেবারেই উল্টো হল।

ISF: ভাঙড়ে কেন তেজ কমল ISF-এর? আরাবুলহীন ভাঙড়ে তলায় তলায় কাজ করল কোন ফ্যাক্টর?
ভাঙড়ে কেন পিছিয়ে আইএসএফ? Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2024 | 12:56 PM

কলকাতা:  বসিরহাট হোক কিংবা মথুরাপুর, জয়নগর! বামেদের পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছি আইএসএফ। তৃণমূল, বিজেপির পরেই স্থানেই সিদ্দিকি টিম। কিন্তু অবাক করে নিজেদের গড়ের তৃণমূলের কাছে পিছিয়ে পড়েছে ভাঙড়! কেন? তবে কি শওকতের চালে মাটি আলগা হতে চলেছে সিদ্দিকির? চলছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। সন্দেশখালি আন্দোলনের সময় আবার মুখ ছিলেন তিনি। যেতে হয়েছিল জেলেও। কিন্তু এত আন্দোলনের পরেও নিরাপদ সর্দার-ফ্যাক্টর কাজ করল না সন্দেশখালিতে।  দলের প্রাক্তন বিধায়কের উপর আস্থা রেখেছিলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। বসিরহাট লোকসভায় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের ম্যানেজাররা নিরাপদকে প্রার্থী করেছিলেন। কিন্তু সন্দেশখালির মানুষ তাঁর ওপর ভরসা রাখতে পারলেন না। ভোটের ফল অন্তত সে কথাই বলছে । নিরাপদ তৃতীয় স্থানেও থাকতে পারলেন না ভোটের ফলের নিরিখে। চতুর্থ স্থানে নিরাপদ সর্দার।তৃতীয় হলেন আইএসএফ প্রার্থী আক্তার রহমান বিশ্বাস।

তবে শুধু বসিরহাট নয়। আরও তিন আসনে বামেদের পিছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে নওশাদ সিদ্দিকির দল।বসিরহাট লাগোয়া বারাসতেও ফরওয়ার্ড ব্লকের সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে তৃতীয় হয়েছেন আইএসএফ প্রার্থী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

মথুরাপুর আসনে সিপিআইএমকে পিছনে ফেলে তৃতীয় হয়েছে আইএসএফ। একইভাবে জয়নগর আসনেও আরএসপিকে পিছনে ফেলেছে নওশাদ সিদ্দিকির দল। তবে  অদ্ভুতভাবে আইএসএফের গড়, ভাঙড়ের ফলটা যেন একেবারেই উল্টো হল।

ভাঙরে আইএসএফ ফল একবারেই ভাল হয়নি। সেখানে তৃণমূল প্রায় ৮২ হাজার ভোটে নওশাদ সিদ্দিকির দলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।  ভোটের আগে থেকেই বারবার তপ্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। গণনার আগের আগেও ব্যাপক হিংসা, বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি যেন প্রতীয়মান হয়ে উঠছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শেষ পর্যন্ত খেলা ঘুরিয়েছে ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার টিম।

ভাঙড় ১ এবং ২ ব্লক। বছর তিনেক আগে রাজনৈতিক দল গড়ে ভোটে প্রার্থী দিয়েছিল আইএসএফ। সেই ভোটেই তারা জিতে নেয় ভাঙড় আসনটি। সেসময়ে তৃণমূলের খারাপ ফল হয়েছিল। আর সেই খারাপ ফলের কারণ হিসাবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকটাই দায়ী করেছিলেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের সঙ্গে টক্কর দিয়েছিল আইএসএফ। রাজনীতির কারবারিদের কাছেও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, আইএসএফ তলায় তলায় শক্তি বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এবার তার প্রভাব পড়ল না ভাঙড়েই।এর কারণ কী,  কেন এমন হল, হিসাব নিকাশ করা হবে বলে জানাচ্ছেন আইএসএফ নেতৃত্ব। আরাবুলহীন ভাঙড়ে শেষ খেলা খেলে দিল শওকতেরই টিম। তবে এখনও পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।