Dilip Ghosh: দিলীপ-জমানায় বিজেপি ‘সাবালক’ হয়েছিল, শুভেন্দু-সুকান্তের আমলে ১২
Dilip Ghosh: দিলীপ ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ভোটের শতাংশ একই আছে এবারও। বলেন, "২১ সালে ৩৮ শতাংশে ছেড়েছিলাম, তাই আছে। তবে আমরা এগোতে পারিনি ৩-৪ বছরে। এটা ভাবা দরকার। কেন আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি? যে গতিতে আমরা এগোচ্ছিলাম সারা দেশে তা আলোচনার বিষয় ছিল।"
কলকাতা: দিলীপ ঘোষের হার নিঃসন্দেহে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। কারণ, তাঁর হার একজন প্রার্থীর হার নয়, সংগঠকেরও হার। যার ধাক্কা দলের নীচুস্তরের কর্মীদেরও মনে লাগে। দিলীপ ঘোষের জমানায় ১৮টা আসন জিতেছিল বিজেপি এ রাজ্য থেকে। এখন সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারীরা বঙ্গ সংগঠনে সর্বেসর্বা। অথচ এবার টেনেটুনে ১২টা। ২০১৯-এর তুলনায় বিজেপি সংগঠন বেড়েছে, এতগুলো বিধায়ক। তারপরও কোচবিহার, হুগলি, মেদিনীপুরের মতো জেতা সিটগুলোও খুইয়েছে।
বুধবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পার্টি চলতে থাকে। লড়াই চলতে থাকে। তবে নেতা পাল্টে যায়, রেজাল্টও বদলে যায়। এটা ঠিক আমরা ২০২১ পর্যন্ত এগিয়েছি। বহু কর্মী শহীদ হয়েছেন সে সময়। আক্রান্ত হয়েছেন পার্টি করার জন্য। তারপরও আমরা ১৮ জন সাংসদ, ৭৭ জন বিধায়ক পেয়েছিলাম। তবে যে কোনও কারণেই হোক ওখানেই আমাদের অগ্রগতি আটকে গিয়েছে।”
তবে দিলীপ ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ভোটের শতাংশ একই আছে এবারও। বলেন, “২১ সালে ৩৮ শতাংশে ছেড়েছিলাম, তাই আছে। তবে আমরা এগোতে পারিনি ৩-৪ বছরে। এটা ভাবা দরকার। কেন আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি? যে গতিতে আমরা এগোচ্ছিলাম সারা দেশে তা আলোচনার বিষয় ছিল। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহও ছিল। তবে কোথাও না কোথাও ফাঁক থেকেছে। লড়াই সেভাবে হয়নি। সব কর্মীরা নামেননি। এটা নিয়ে চিন্তাভাবনার দরকার আছে। গতি যেন রুদ্ধ না হয়ে যায়।”
দিলীপের পরামর্শ, “আমাদের ব্যক্তিগত রেষারেষি ভুল বোঝাবুঝি, ভুল পলিসির জন্য যেন এত হাজার হাজার কর্মীর পরিশ্রম যেন জল না হয়ে যায়।”