Bengal BJP: নীচু তলার সাংগঠনিক হাল হকিকত কেমন? সরাসরি জেলার নেতাদের থেকে শুনবেন নাড্ডা-শাহ
Nadda-Shah: সরাসরি জেলার নেতাদের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এই বৈঠকের ভাবনা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কলকাতা: বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) জেলার নেতাদের সঙ্গে এবার বৈঠক করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) এবং মোদীর সেনাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, বঙ্গ বিজেপির সংগঠন নিয়ে এবার বাড়তি নজর দিচ্ছে দিল্লির নেতৃত্ব। বিশেষ করে এতগুলি বছর পেরিয়ে আসার পরেও এখনও রাজ্যের অনেক জায়গাতেই বুথ কমিটি তৈরি হয়নি। অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে নীচু তলার দলীয় কর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে যাচ্ছেন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও রাজ্য স্তরের নেতাদের বিশেষ উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তার উপর একাধিক জেলার দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। এমন এক অবস্থায় সরাসরি জেলার নেতাদের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এই বৈঠক স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির এমন এক পরিস্থিতিতে সংগঠনের বাস্তব চিত্রটি ঠিক কেমন, তা খতিয়ে দেখতে চান অমিত শাহ, জে পি নাড্ডারা। সেই কারণেই জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তাঁরা। ১৯ তারিখ কৃষ্ণনগরের জনসভার পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন। এই মর্মে দিল্লির নেতৃত্বের থেকে রাজ্যের নেতাদের কাছে বার্তা এসেছে বলেও জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি অমিত শাহ যখন রাজ্যে আসবেন, তখন তিনিও জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই এগোতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি শিবির। দিল্লি নেতৃত্ব বিশেষ নজর দিচ্ছে বাংলার উপর। এবার বাংলা থেকে লোকসভায় আসন সংখ্যা আরও বাড়াতে চাইছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই লক্ষ্যে চলতি বছরেই দুই ডজন সভা করবেন নাড্ডা-শাহ। বিজেপির দুই মহারথীর ১২টি করে জনসভা করার কথা রয়েছে বাংলায়। এদিকে বিজেপির নীচু তলায় যে সংগঠন কিছুটা দুর্বল হয়েছে, তা নেতাদের কথাতেই দলীয় বৈঠকে পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে।
ডিসেম্বর মাসে ব্যান্ডেলে বিজেপির যে দলীয় বৈঠক হয়েছিল, সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী মণ্ডল ও জেলা স্তরে কার্যকর্তার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। বিজেপি মিটিং-মিছিলে লোক এলেও, তাঁরা যখন আবার বুথে ফিরে যাচ্ছেন, ফের তাঁরা ঝিমিয়ে পড়ছেন… এমন কথাও নাকি শুভেন্দু বলেছেন ওই দলীয় বৈঠকে। মূলত নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার যে ছাপ রয়েছে, সেটিই এর কারণ বলে মনে করছেন বিজেপির একাংশ। এবার বঙ্গ বিজেপির জেলা স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সাংগঠনিক হাল-হকিকত বুঝে নিতে চাইছেন দিল্লির শীর্ষ নেতারাও।