BJP Party Office: বিজেপির পার্টি অফিসের দেওয়ালে কাস্তে হাতুড়ি! জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা উঠতে হাফ ছেঁড়ে বাঁচলেন শুভেন্দু-সুকান্তরা

BJP Party Office: অবস্থানের দ্বিতীয় দিন, ১১ সেপ্টেম্বর সকালে বিজেপি অফিসের সাংবাদিক বৈঠকের জন্য ঢুকতে গিয়ে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছিল বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালকে। তারপর থেকে অগ্নিমিত্রা, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের আর সল্টলেক অফিসে ঢুকতে দেখা যায়নি।

BJP Party Office: বিজেপির পার্টি অফিসের দেওয়ালে কাস্তে হাতুড়ি! জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা উঠতে হাফ ছেঁড়ে বাঁচলেন শুভেন্দু-সুকান্তরা
ছন্দে ফিরছে জি এন ২৭ এর সল্টলেকের বিজেপি অফিসImage Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2024 | 10:18 AM

কলকাতা: ছন্দে ফিরছে জি এন ২৭ এর সল্টলেকের বিজেপি অফিস। অস্বস্তি কাটিয়ে ঘর ফিরে পেল বিজেপি। ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টে থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা শুরু হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। সঙ্গে থাকেন বিভিন্ন অংশের নাগরিকরা। ২০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩.৪৫ মিনিট ধরনা শেষ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই ১১ দিনে বিজেপি অফিসের প্রবেশ পথে এবং সামনের রাস্তায় ধর্নায় যোগ দেওয়া চিকিৎসকদের দখলে ছিল। তার ফলে অফিসের মধ্যে প্রয়োজনীয় রান্নার গ্যাস, রেশন ফুরিয়ে গেলেও তা সরাসরি নিয়ে যেতে পারেননি বিজেপির নেতা-কর্মীরা।

অবস্থানের দ্বিতীয় দিন, ১১ সেপ্টেম্বর সকালে বিজেপি অফিসের সাংবাদিক বৈঠকের জন্য ঢুকতে গিয়ে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছিল বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালকে। তারপর থেকে অগ্নিমিত্রা, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের আর সল্টলেক অফিসে ঢুকতে দেখা যায়নি। এমনকি, ১৫ সেপ্টেম্বর, রবিবার নির্ধারিত সূচি থাকলেও শেষ মুহূর্তে সল্টলেকের দলীয় দফতর এড়িয়ে সংগঠন কাজ করতে ৬, মুরলীধর সেন লেনে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একইভাবে লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের অফিস ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। 

ধর্মতলার ধরনা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য-সহ সাংবাদিক বৈঠক করবেন সল্টলেকের দলীয় দফতরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃস্পতিবার বিকেলে তা হয় মুরলীধর সেন লেনের দফতরে। ১১ দিনে সল্টলেকের বিজেপি দফতরে সে অর্থে বড় নেতা নেত্রীদের দেখা যায়নি।

আন্দোলনকারীরা রাজ্যের শাসকের পাশাপাশি বিজেপির প্রতিও ক্ষোভ দেখিয়েছেন। যা জি এন ২৭ এর বিজেপি অফিস চত্বরে পা রাখলেই স্পষ্ট হবে। কোথাও নরেন্দ্র মোদীর ছবি পাশে থাকা স্লোগান কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে। কোথাও বিজেপির অফিসের দেওয়ালে এঁকে দেওয়া হয়েছিল কাস্তে হাতুড়ি। যা পরে আবার কেউ মুছে দিয়েছিলেন। বিজেপি অফিসের গেটের সামনে লিখে রাখা বিলকিস বানোর স্বর আর জি কর, আবার হাথরস, কাঠুয়া, উন্নাও, উত্তরপ্রদেশ, বিহার বিভিন্ন অংশের কথা তুলে ধরে এন্ডলেস বলে স্লোগান লেখা হয়েছে। যা বিজেপির পক্ষে চরম অস্বস্তিকর।

আজাদির কথা বারবার বলেছেন আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ। স্লোগান দিয়েছেন। যা নিয়ে পাল্টা নিশানা করে এই ধরনের স্লোগান জনবিচ্ছিন্ন করছে আন্দোলনকে বলে মন্তব্য করেছেন সুকান্ত। এহেন আবহে ধর্না উঠে যাওয়ায় অনেকটাই স্বস্তিকর পরিবেশ বিজেপি অফিসে। সে কথা সরাসরি না মানলেও আড়ালে স্বীকার করছেন অফিসের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা নেতা কর্মীরা।

এই কয়েকদিন অসুবিধা হলেও চিকিৎসকদের প্রতি সংহতি জানাতে সংঘাতে জড়ায়নি কোনও বিজেপি নেতা কর্মীরা। বরং অফিস থেকে জল, চা দিয়েও পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। গেরুয়া শিবিরের শৌচালয় ব্যবহারও করতে দেখা গিয়েছে অবস্থানকারীদের কাউকে কাউকে। অতি বাম ঢুকে যাওয়াতে আন্দোলনের গতি অনেকটাই কমেছে, জনগণ কিছুটা সরে এসেছে, এই দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অবশেষে অবস্থান উঠে যাওয়ায় হাঁপ ছাড়ল পদ্ম শিবির। শনিবার থেকে স্বাভাবিকভাবেই অফিস ব্যবহার করা যাবে, আশাবাদী বিজেপি নেতৃত্ব।