Calcutta High Court: হাইকোর্টের প্যাঁচানো সিঁড়িতে ভূতুড়ে ব্যাপার, হাড় হিম করা কাহিনি শোনালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের ১১ নম্বর এজলাসের লাগোয়া যে প্যাঁচানো সিঁড়ির কথা। সেখানে যে অশরীরি আত্মার আনাগোনা রয়েছে, এই গল্প তিনিও শুনেছেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Calcutta High Court: হাইকোর্টের প্যাঁচানো সিঁড়িতে ভূতুড়ে ব্যাপার, হাড় হিম করা কাহিনি শোনালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 1:01 AM

কলকাতা: ন্যাশনাল লাইব্রেরি (Ghosts in National Library) থেকে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশন, পুতুলবাড়ি থেকে রাইটার্স বিল্ডিং কলকাতার একাধিক জায়গা নিয়ে ভুতুরে গল্প প্রায়শই শোনা যায় লোক মুখে। তালিকায় কী এবার কলকাতা হাইকোর্টও (Ghosts in Calcutta High Court)? শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা। খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল ভুতুড়়ে গল্পের কথা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ২০১৪ সালের টেটপ্রার্থীদের মামলার শুনানির শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট যে ২৬৯ জন টেটপ্রার্থীকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তাঁদের মামলাগুলি বিকেল চারটে থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত শোনা যেতে পারে বলে জানান। এজলাসে পর্ষদের আইনজীবীকে একথা বলেন। সূত্রের খবর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের দাবি, তাঁর কাছে রোজই একটানা নানারকম মামলা থেকে। সেগুলি শেষে পর যদি ৬৯ জনের মামলা আসে তবে সেগুলি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই তাঁর দাবি বিকালের পরেই মামলা চলুক। যদিও তাঁর এ কথা শোনার পরেই শোরগোল পড়ে যায় এজলাসে। 

সূত্রের খবর, তাঁর কথা শোনার পরেই এক আইনজীবী বলেন, রাতের কোর্ট মানেই তো ভয়ানক সব গল্প। অনেকেই শুনেছেন কোর্ট চত্বরে রাতে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায় অতৃপ্ত আত্মারা। এ কথা তিনি নিজেও শুনেছেন বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আইনজীবীর কথা পুরোপুরি মিথ্যা নয়। তাঁর মুখে শোনা যায় কলকাতা হাইকোর্টের ১১ নম্বর এজলাসের লাগোয়া যে প্যাঁচানো সিঁড়ির কথা। সেখানে যে অশরীরি আত্মার আনাগোনা রয়েছে, এই গল্প তিনিও শুনেছেন। তিনি এও জানান বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময় ঘটেছিল এক ‘হাড় হিম’ করা ঘটনা। ওই সময়ে এক রাতে হাইকোর্টের একজন পুলিশকর্মী বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে জানান, প্যাঁচানো সিঁড়িটি দিয়ে নামার সময়ে তাঁকে নাকি কেউ পিছন থেকে ধাক্কা মেরেছে! 

ওই পুলিশকর্মী নাকি এক অদ্ভূত দৃশ্যও দেখেছেন। সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পর থেকেই নাকি এগারো নম্বর এজলাসের পাশের ওই সিঁড়ি পথ রাত হলেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী ওখানে রাতে পুলিশ কর্মীর সংখ্যাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যখন এসব কথা বলছেন তখন সেখানে উপস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়, রাতুল বিশ্বাস, সুদীপ্ত দাশগুপ্তরা। তাঁরাও এসব কথা শুনে নড়েচড়ে ওঠেন। অতৃপ্ত আত্মারা কেউ পেয়েছেন ফাঁসির সাজা, কেউ বা বিচার না পেয়ে ঘুরে মরেছেন, এই গল্প দীর্ঘদিন থেকেই শোনা যেত কলকাতা হাইকোর্টের আনাচে-কানাচে। গল্প ফেরি করে বেড়াতেন আদালত কর্মী থেকে আইনজীবীরা। এবার খোদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে সেই গল্প শোনা যাওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে চাপানউতর তৈরি হয়েছে কলকাতার নাগরিক মহলে।