Justice Abhijit Ganguly: ‘ভদ্র-অভদ্রের গ্রেফতার নিয়ে ভাবিত নই’, পর্যদের গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
Justice Abhijit Ganguly: বিচারপতির বক্তব্য, "কোন ভদ্র না অভদ্র গ্রেফতার হয়েছেন, তা নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু 'কনফিডেন্সিয়াল সেকশন'এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্ষদের হাতের বাইরে থাকা উচিত নয়।"
কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ বলে পরিচিত এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, পর্ষদের বাইরে থাকা কোনও সংস্থাকে ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ বলে অভিহিত করা যায় না। আইনে পর্ষদের হাতে এই ধরনের কোনও ক্ষমতা দেওয়া আছে কিনা, তাও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ওএমআর শিট মূল্যায়নকারী একটি সংস্থা। ২০২০ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল সোমবার। সেই মামলাতেই এই ধরনের মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, পর্ষদের বাইরে থাকা কোনও সংস্থাকে ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ অর্থাৎ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় বিষয় হিসাবে গণ্য করা যায় না। আলাদা করে বাইরের কোম্পানিকে দিয়ে তথ্য যাচাই সঠিক নয় বলেই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।
এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি প্রসঙ্গও টেনে আনেন। বিচারপতির বক্তব্য, “কোন ভদ্র না অভদ্র গ্রেফতার হয়েছেন, তা নিয়ে ভাবিত নই। কিন্তু ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্ষদের হাতের বাইরে থাকা উচিত নয়।”
প্রসঙ্গত, এর আগে গত মার্চ মাসের ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্যকে ভর্ৎসিত করে ‘কনফিডেন্সিয়াল সেকশন’ এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন। বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের কনফিডেন্সিয়াল সেকশন বলে অভিহিত করেছিল, সেই এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানির সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের কী সম্পর্ক ছিল ?” কেন কনফিডেন্সিয়াল বলা হচ্ছে, সে বিষয়েও মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিল।