Justice Abhijit Ganguly on CBI: CBI আধিকারিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়েই প্রশ্ন! তদন্তের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

Justice Abhijit Ganguly on CBI: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

Justice Abhijit Ganguly on CBI: CBI আধিকারিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়েই প্রশ্ন! তদন্তের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2023 | 2:46 PM

কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI)-এর ভূমিকা নিয়ে আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তদন্তকারী অফিসারদের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। বৃহস্পতিবার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সিবিআই অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি বলেছেন, ‘এই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব সিবিআই আধিকারিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি খুঁজে বের করার নির্দেশ আমি দেব। তারপর দেখছি।’ এদিন প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় আগেই সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সিটের তদন্ত নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

সিটের তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে কিছুদিন আগেই তদন্ত থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এদিন সেই অফিসার সম্পর্কে বিচারপতির মন্তব্য, ‘কোনও সরকারি সংস্থায় কাজ করার উপযুক্ত নয়।’ বৃহস্পতিবার সিবিআই-কে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

এমনকী বিচারপতি সিবিআই-এর পরিবর্তে ব্রিটিশ তদন্তকারী সংস্থা এমআই-৫ এর ওপর ভরসা করার কথাও বলেন এদিন। তিনি বলেন, আমাকে তো দেখছি সিবিআই-এর পরিবর্তে ইংল্যান্ডের তদন্তকারী সংস্থা এমআই-৫ -এর ওপর ভরসা করতে হবে। এবার তদন্তের কাজ না এগোলে আদালত কড়া পদক্ষেপ করবে বলেও কার্যত হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি।

প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই-কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু যে রিপোর্ট দেওয়া হয়, তাতে যথেষ্ট জবাব ছিল না বলেই দাবি করেন বিচারপতি। মূলত সেটাই আদালতের অসন্তোষের কারণ হয়। সিবিআই ফের সময় চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করোন বিচারপতি। এর আগেও সিটের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দুই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁরা যেন এই তদন্ত সংক্রান্ত কাগজে হাত না দেন।