Leaps And Bounds: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর ১৩৪ কোটি বাজেয়াপ্ত, শুনেই বিচারপতি সিনহা বললেন, ‘খুব নগণ্য নয় কি?’

Calcutta High Court: এই মামলায় এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের নামও উঠে আসে। ইডি জানায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই শুনানি হচ্ছে না। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছে ইডি।

Leaps And Bounds: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর ১৩৪ কোটি বাজেয়াপ্ত, শুনেই বিচারপতি সিনহা বললেন, 'খুব নগণ্য নয় কি?'
বিচারপতি অমৃতা সিনহাImage Credit source: GFX- TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2024 | 5:58 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন নম জড়িয়ে যান ‘লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস’ নামে এক সংস্থার। সেই সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা, একাধিক ব্যক্তিকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়, যাঁদের ‘লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডস’-এর সঙ্গে যুক্ত। সেই সংস্থার কত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সে কথা বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জানাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে ইডি জানায়, মোট ১৩৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, দুর্নীতির টাকার অঙ্কের অনুপাতে এটা খুব নগণ্য বলে মনে হচ্ছে না? তিনি যে এই রিপোর্টে খুব একটা সন্তুষ্ট নন, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।

ইডি-র উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “অভিযোগ উঠেছে যে চাকরি বিক্রি হয়েছে। এটা একটা স্ক্যাম। সত্যিই কি চাকরি বিক্রি হয়েছে? তার কি কোনও প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন? টাকার উৎস জানতে আপনারা কি কোনও পদক্ষেপ করেছেন?” ইডি জানায়, প্রতিদিনই তদন্তে এগিয়ে যাচ্ছে তারা।

এই মামলায় এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের নামও উঠে আসে। ইডি জানায়, প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতির মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই শুনানি হচ্ছে না। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছে ইডি। আগামী ১২ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ফের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহার বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নামে থাকা যে সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার মধ্যে কালীঘাট রোডের দুটি বহুতল রয়েছে বলে চলতি বছরের শুরুর দিকে জানিয়েছিল ইডি। ইডি-র দেওয়া তথ্য বলছে, এর মধ্যে একটি বাড়ি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও অপরটি কিনেছিলেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়।