Jyotipriya Mallick: মোবাইল দাও, বালিশ দাও, চাদর দাও, জেলে আবদারের শেষ নেই বালুর
Jyotipriya Mallick: বস্তুত, গত রবিবার আদালতে পেশের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। কার্যত মৃত্যু পথ যাত্রী তিনি। বাঁ-দিক প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে। তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকেই হাতিয়ার করেন বালুর আইনজীবী।
কলকাতা: এতদিন হাসপাতাল আর সিজিও কমপ্লেক্সে দিন কাটাচ্ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই হয়েছে তাঁর। কিন্তু জেলে গিয়েও যেন আবদার কমছে না ‘মন্ত্রী মশাইয়ের’। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার জানিয়েছে, কখনও তিনি মোবাইল চাইছেন, কখনও আবার বালিশ, চাদর চাইছেন।
বস্তুত, গত রবিবার আদালতে পেশের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। কার্যত মৃত্যু পথ যাত্রী তিনি। বাঁ-দিক প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে। তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকেই হাতিয়ার করেন বালুর আইনজীবী। বিচারকের সামনে দাবি করা হয় মন্ত্রীকে যেন কোনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বকে হাতিয়ার করে আদালতে সওয়াল করেন ইডির আইনজীবী। তারপরই জেলের নির্দেশ দেন বিচারক।
জেল সূত্রে খবর, হাজতে যাওয়ার পরই মোবাইল ফোনের জন্য আবদার শুরু করেছেন মন্ত্রী। একাধিকবার জেল কর্তৃপক্ষকে ফোনের জন্য অনুরোধ করেছেন। বালুর প্রশ্ন, ফোন ছাড়া তিনি থাকবেন কীভাবে? পাশাপাশি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলতে চেয়েছেন। শুধু মোবাইল নয়, শোয়ার জন্য বালিশ-চাদর এমনকী খাটও চেয়েছেন বনমন্ত্রী। তবে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাফ জানিয়েছেন নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত কোনও পরিষেবাই তাঁকে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য,আজ নিয়ে মোট তিনরাত জেলে কাটতে চলেছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। মাটিতেই কম্বল পেতে শুতে হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, আদালত নির্দেশ না দিলে কম্বলের উপরই ঘুমোতে হবে তাঁকে।