ভয় দেখিয়ে বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিচ্ছেন মমতা, বিস্ফোরক কৈলাস

BJP MLAs : বিজেপি বিধায়কদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হচ্ছে । প্রশাসন ও পুলিশের অপব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অভিযোগ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ।

ভয় দেখিয়ে বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিচ্ছেন মমতা, বিস্ফোরক কৈলাস
(ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 01, 2021 | 6:17 PM

কলকাতা : ভোটের পর থেকেই ঘর ভাঙতে শুরু করেছে। যাঁরা তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) গিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন। ক্রমেই লম্বা হচ্ছে ঘর ওয়াপসির তালিকা। আর এখন তো পদ্ম-টিকিটে জয়ী বিধায়করাও থাকতে চাইছেন না গেরুয়া শিবিরে। প্রথমে মুকুল রায়। তারপর তন্ময় ঘোষ। আর মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ দাস। নয় নয় করে বিজেপির টিকিটে জেতা ৩ বিধায়ক এখন ভোল পালটে ঘাসফুলে

প্রথমে ৭৭ থেকে ৭৫। তারপর এই ঘর ওয়াপসির ধাক্কায় পদ্ম বিধায়কদের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭২-এ। আর এতে বেজায় চটেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) সরাসরি অভিযোগ এনেছেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের অপব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিধায়কদের বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হচ্ছে। আর সেই মানসিক চাপের মধ্যে পড়েই বিজেপির টিকিটে জিতেও তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন তিন বিধায়ক।

বিধায়কদের ঘর ওয়াপসির পালা শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের হাত ধরে। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তৃণমূল ভবনে উপস্থিত থেকে ঘরে ফিরিয়ে এনেছিলেন মুকুলকে। পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলেন। সম্প্রতি বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষও তৃণমূলে ফিরেছেন। আর তারপর বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ঘাসফুলে ফিরেছেন। একের পর এক বিধায়ক হাতছাড়া হচ্ছে বিজেপির।

বিজেপির নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ এর আগেও একাধিকবার তুলে এসেছেন দিলীপ ঘোষ , কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। ২ মের পর থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির ছিল মূলত, শাসক দলের বিরুদ্ধে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও একের পর এক আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শুভেন্দুকে। বিজেপির অভিযোগ, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই তৃণমূল এই কাণ্ড করছে।

তবে পরপর দুই বিধায়কের দল বদলে বেজায় চিন্তায় বিরোধী দলনেতা। শেষ মুহূর্তে বাতিল করতে হয়েছে উত্তরবঙ্গ সফর। পরিবর্তে তিনি উত্তর ২৪ পরগনায় আসতে বাধ্য হয়েছেন। দলত্যাগী বিধায়কদের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য নির্দেশও দিয়েছেন। কৈলাসের মতো শুভেন্দুও একের পর এক বিধায়কের দল বদলে শাসক দলের অভিসন্ধির গন্ধ পাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষও বাঁকুড়া শহরের ডাকাবুকো ব্যবসায়ী। রেশন দোকান রয়েছে। মদের ব্যবসাও রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, সেই ব্যবসা বাঁচানোর জন্যই তন্ময় তৃণমূলে ফিরেছেন। বিশ্বজিৎ দাসের উপরেও কি একই ধরনের কোনও চাপ তৈরি করা হচ্ছিল?

যদিও পদ্ম শিবিরের এই ধরনের অভিযোগকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক শিবির। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাল্টা বক্রোক্তি শানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “যোগদান মেলা করার সময় নীতি নৈতিকতার ধার ধারেননি বিজেপি নেতারা । আজকে মনে পড়ছে নীতির কথা ।” আরও পড়ুন : হোটেল সমস্যার চিরতরে সমাধান, বিপ্লব দেবের নাকের ডগায় তৈরি হচ্ছে তৃণমূল ভবন