Kasba Student Death: পাঁচ তলা থেকে পড়েও কোনও হাড় ভাঙল না? কসবার ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় জোরালো হচ্ছে রহস্য

Kasba Student Death: স্কুলের তরফ থেকে আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। সোমবার শানের স্কুলে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার দিন ছিল। স্কুলে দুটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। শান একটি প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল।

Kasba Student Death: পাঁচ তলা থেকে পড়েও কোনও হাড় ভাঙল না? কসবার ছাত্র মৃত্যু ঘটনায় জোরালো হচ্ছে রহস্য
কসবার ছাত্র মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2023 | 11:57 AM

কলকাতা: কসবার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এবার সিলভার পয়েন্ট হাই স্কুলের প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল এবং দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ছাত্রের পরিবার। ষড়যন্ত্র করে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। কসবা থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃত ছাত্র শেখ শানের পরিবারের তরফে। এমনকী দোষীদের ফাঁসি দাবিতে রাষ্টপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করবেন বলে জানান মৃত ছাত্রের বাবা শেখ পাপ্পু।

পরিবারের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের মধ্যেই একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। তাদের অভিযোগ, স্কুল থেকে প্রথমে দু’রকম কথা বলা হয়েছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল মাথা ঘুরে ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছে শান। পরে বলা হয়েছে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। যদি সিঁড়ি বা ছাদ থেকেই পড়ে যেত, তাহলে অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই কেন? প্রশ্ন তুলছে মৃতের পরিবার। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, কেবলমাত্রা শানের দাঁত থেকেই রক্ত বের হচ্ছিল। পরিবারের আরও অভিযোগ, বাবা মাকে প্রথমেই ফোন না করে স্কুল কেন দূরের হাসপাতালে নিয়ে গেল?

দোষীদের ফাঁসির দাবি তোলা হচ্ছে পরিবারের তরফ থেকে। মঙ্গলবার সকালেই মৃত ছাত্রের বাড়িতে পৌঁছেছে কসবা থানার পুলিশ। কথা বলার মতো পরিস্থিতিতেই নেই ছাত্রের মা। কেবল বললেন, “স্কুলে পড়াশোনা কিছুই হয় না। স্কুল কেবল ব্যবসা করছে। অভিযুক্তদের ফাঁসি হোক।” মৃত ছাত্রের দিদা বলেন, “আমার বাচ্চা চলে গিয়েছে, এখন আমি আর কী চাই। আমরা শুধু ওদের শাস্তি চাই। আজ আমার বাচ্চা গিয়েছে, কাল অন্যের বাচ্চা যাবে।”

পুলিশের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ছ’তলার করিডরে ঘোরাফেরা করছিল শান। তার অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যে স্কুলবাড়ির নীচে মেলে তার রক্তাক্ত দেহ। পরিবারের প্রশ্ন, কান থেকে রক্ত বেরচ্ছিল। শরীরের হাড় ভাঙেনি। তা হলে কী ভাবে উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হল?

স্কুলের অন্যান্য অভিভাবক ও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মৃত ছাত্রের বাবা শেখ পাপ্পু স্কুলের ফিজ় বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছিলেন। কোভিড পরিস্থিতিতে কেন স্কুলের ফিজ় বাড়ানো হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ করেছিলেন। ছাত্রের মৃত্যুর নেপথ্যে সেই বিষয়টিই ফ্যাক্টর হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

স্কুলের তরফ থেকে আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। সোমবার শানের স্কুলে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার দিন ছিল। স্কুলে দুটি প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। শান একটি প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল। ক্লাসের মধ্যে শিক্ষক তাকে কান ধরতে বলেছিলেন। তারপরই এই ঘটনা। এই দুটি ঘটনার মধ্যেও কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পাশাপাশি পুলিশ তদন্তে এটাই জানতে পেরেছে, শানের পরিবারে কিছু সমস্যা ছিল। শানের বাবা-মা ইদানীং আলাদা থাকতেন। শান তার বাবা ও দিদার সঙ্গে থাকত। আর তার মা অন্যত্র। পারিবারিক এই বিষয়ে সে কোনও অবসাদে ভুগছিল কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ।