Jadavpur University: র্যাগিং রুখতে কোন প্রযুক্তি কার্যকরী, আজ যাদবপুর ঘুরে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে ISRO-র টিম
Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। অতি সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। র্যাগিং রুখতে তৎপর হয়ে ওঠেন তিনি।
কলকাতা: মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে ইসরোর প্রতিনিধি দল। র্যাগিং রুখতে ইসরো থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য নিয়ে মূলত আলোচনা করতেই এই প্রতিনিধি দলের এই সফর। সূত্রের খবর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কথা বলেছিলেন ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে। ভিডিয়ো অ্যানালেটিক্স, টার্গেট ফিক্সিং, রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সির মতো বিষয়গুলি আদৌ কার্যকরী হবে কিনা, সেই বিষয়টিও দেখা হবে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ইসরোর বিশেষ প্রতিনিধি দল আসবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাস পরিদর্শনের পর তাঁরা হস্টেলেও যেতে পারেন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার করবেন। র্যাগিং রুখতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। র্যাগিং রুখতে তৎপর হয়ে ওঠেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চন্দ্রযান ল্যান্ডিং-এর দিনেই ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাজ্যপাল কথা বলেন বলে সূত্রের খবর। সেই সময়েই ইসরোর প্রতিনিধি দলের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু সে সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে সময় চেয়ে নেওয়া হয়। আসলে এই ঘটনার কয়েকদিন আগেই যাদবপুরের দায়িত্ব পেয়েছেন অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সে কারণে, তাঁর কাছে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত যে পরিমাণ তথ্য ও নথি থাকার কথা, তা ছিল না বলে জানা যায়। সেই নথি জোগাড় করার সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, ইসরোর প্রতিনিধি দল গোটা ক্যাম্পাস ঘুরে দেখে এটা নির্ধারিত করবেন, র্যাগিং রুখতে মূলত কোন কোন প্রযুক্তি এক্ষেত্রে কার্যকরী হবে। তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি দল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তবে UGC কী করতে এসেছে, তা নিয়ে সোমবার স্পষ্ট করে ধারণা দিতে পারেননি অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তাঁর বক্তব্য ছিল, “ইউজিসি কী করতে এসেছে, তারাই জানে। আমাদের এখনও পরিষ্কার করে কিছুই বলা হয়নি।” এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে ইসরোর টিম।