Kaustav Bagchi: ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’, মুখপাত্রের তালিকা থেকে বাদ পড়তেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট কৌস্তভের
Kaustav Bagchi: প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের একসঙ্গে পথচলা নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি তুলে আসছেন কৌস্তভ। সোশ্য়াল মিডিয়ায় লাগাতার পোস্টে খোঁচাও দিতে ছাড়েননি।
কলকাতা: মহাজাতি সদনের গোলমালে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কানহাইয়া কুমার। ঠিক জায়গায় কৌস্তভের কথা জানাবেন বলেও বলে গিয়েছিলেন। এদিকে বৃহস্পতিবারই কংগ্রেস মুখপাত্রের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কৌস্তভ বাগচীকে (Kaustav Bagchi)। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। এরইমধ্যে আবার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট কৌস্তভের। লিখলেন, “নদী পুকুর আমরা বুঝি না, আমরা একটা কথা স্পষ্ট ভাবি বুঝি, সৎসঙ্গে স্বর্গবাস/ অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।” কাকে অসৎ বলতে চাইছেন কৌস্তভ, কেই বা সৎ? শুরু জল্পনা।
এদিকে বিতর্কের মধ্য়ে কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন শীঘ্রই বিজেপিতে ভিড়তে পারেন কৌস্তভ। সূত্রের খবর কংগ্রেসের একাংশ বলছে, নেতারা সকলে একইসঙ্গে বিজেপি আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলে। কিন্তু পার্টি খেয়াল করেছে এই সময়ের (এক – দেড় বছর) মধ্যে কৌস্তভ বিজেপির বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি। এটা দল ভাল চোখে দেখেনি বলেও মনে করা হচ্ছে। দলের সন্দেহ, কৌস্তভ বিজেপির উস্কানিতে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের একসঙ্গে পথচলা নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি তুলে আসছেন কৌস্তভ। সোশ্য়াল মিডিয়ায় লাগাতার পোস্টে খোঁচাও দিতে ছাড়েননি। এমনকী ২৮ অগস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তা যেতে বারণ করা হলেও তিনি যান। তাঁর অনুগামীরা স্লোগানও দেন। তাঁদের আবার মারধর করার অভিযোগ ওঠে অধীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কৌস্তভ বলেন উনি দলের নিচু তলার কর্মীদের আবেগের কথা বলেন। তাঁদের মনের কথা শোনেন। তৃণমূলের কাছে যারা মার খায়, তাঁদের জন্য লড়াই করেন। কিন্তু মহাজাতি সদনের সভায় কৌস্তভ দলের সেই নিচু তলার কর্মীদের হাতেই মার খেয়েছেন। দলের অনেকের মত, কর্মীরা কৌস্তভের মুখ আর মুখোশ চিনতে পেরেছেন। উনি বিজেপিকে তুষ্ট করতেই তাদের বিরুদ্ধে একটাও কথা বলছে না। উল্টে লাগাতার নিশানা করে যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে। ওনা এই মুখোশধারী দল বিরোধী ভূমিকা দলের সর্বস্তরে নজরে পড়েছে বলে মনে করছেন দলের বড় বড় নেতারাও। সেই কারণেই দল ওকে তাদের মুখপাত্রের তালিকা থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে। কৌস্তভকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার জন্য আপাতত এটা প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্য়ে মুখ খোললেনি কোনও কংগ্রেস নেতাই। তবে দলে যে বিপ্লবী আছে, আর তাঁদের কাজ যে দলের ভাল লাগছে না, সে কথা কদিন আগেই বলেছিলেন অধীর।