Suvendu Adhikari: চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিয়ে বড় প্রশ্ন শুভেন্দুর, দিলেন হিসেবও
Suvendu Adhikari: এক্স হ্যান্ডলে ওই পোস্টে শুভেন্দু আরও লেখেন, আরজি করের ঘটনার পর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সরকারি চিকিৎসকদের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তা প্রমাণ করতেই এই সভা কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু।

কলকাতা: ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে সোমবার সিনিয়র ও জুনিয়র চিকিৎসক ও চিকিৎসক পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকদের পেশাগত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে ওই সভায়। একদিনে এত চিকিৎসক ওই সভায় উপস্থিত থাকলে রাজ্যে রোগী পরিষেবা ব্যাহত হবে কি না, এবার সেই প্রশ্ন তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবের কাছে এব্যাপারে জানতে চেয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন তিনি।
সাড়ে ৬ মাস আগে আরজি করের সেমিনার হলে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য। আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও চিকিৎসক পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামিকালের এই সভার নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিকিৎসার আরেক নাম সেবা’। সেখানে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন।
এই নিয়েই এদিন এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে জানতে চেয়েছেন এই কর্মসূচির জন্য কি স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হবে না? এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, “পুরুলিয়া থেকে আলিপুরদুয়ার, ধনধান্য অডিটোরিয়ামে এই সভায় উপস্থিত থাকতে চিকিৎসকদের বলা হয়েছে। ৬৭৫ জন চিকিৎসককে পরিষেবা থেকে সরিয়ে নিলে রোগী পরিষেবা কীভাবে ব্যাহত হবে না, তা ব্যাখ্যা করার জন্য মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবকে অনুরোধ করছি।” কোন জেলা থেকে কতজন চিকিৎসক ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন, তাও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রী ওই সভায় রাজনৈতিক ভাষণ দেবেন বলেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু।
এক্স হ্যান্ডলে ওই পোস্টে শুভেন্দু আরও লেখেন, আরজি করের ঘটনার পর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়ে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সরকারি চিকিৎসকদের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তা প্রমাণ করতেই এই সভা কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর এই সভার জন্য রাজ্য গ্রিভান্স সেলের সদস্যরা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে বৈঠক করেছেন। চিকিৎসকদের সমস্যার কথা শুনেছেন। এদিন আবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা ওই সভায় যাবে না। তাদের বক্তব্য, আরজি করের ঘটনার পর প্রায় সাড়ে ৬ মাস কাটলেও এখনও অনেক দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি।





