Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata municipal corporation: পছন্দের রং হয়নি, টাকা বন্ধ কেন্দ্রের? বিপাকে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা

Kolkata municipal corporation:এ দিকে, রাজ্য সরকার বা কলকাতা পুরসভা তাতে নারাজ। কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি মানবে না রাজ্য। যে কারণে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে অনুদান বন্ধ।

Kolkata municipal corporation: পছন্দের রং হয়নি, টাকা বন্ধ কেন্দ্রের? বিপাকে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা
রং নিয়ে গণ্ডগোলImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2025 | 6:59 PM

কলকাতা: রং রাজনীতির গেরোয় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি। কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন চায়,তাদের পছন্দ মাফিক রং করা হোক পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে। এ দিকে, রাজ্য সরকার বা কলকাতা পুরসভা তাতে নারাজ। কেন্দ্র সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি মানবে না রাজ্য। যে কারণে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে অনুদান বন্ধ। ফলে বিপাকে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য পরিষেবা। রং রাজনীতির বিতর্কে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি।

বর্তমানে কলকাতা পুরসভা অধীনস্থ ১৪৪টি ওয়ার্ডে একটি করে অর্থাৎ ১৪৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। ২৫টি রয়েছে স্যাটেলাইট স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মোট ১৬৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আংশিক অনুদানে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক,নার্স এবং অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হত। মোট খরচের কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারের রাজ্য স্বাস্থ্য মিশনের তরফে ৪০ শতাংশ টাকা ব্যয় করা হয়।

কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে প্রাপ্য অর্থ গত বছর এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসাবে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভাকে জানিয়েছে, নীল-সাদা রং নয়, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন বা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্থির করে দেওয়া রং দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি সাজাতে হবে।

এই প্রস্তাবে রাজ্য সরকার না করে দেওয়ায় টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে বলে দাবি করা হচ্ছে। ফলে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির যাবতীয় ব্যয়ভার রাজ্যকেই বহন করতে হচ্ছে। অর্থের সঙ্কট এবং দ্রুত ফাইল অনুমোদন না হওয়ায় ওষুধপত্র থেকে অন্যান্য চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনা যাচ্ছে না বলেই অভিযোগ পুরসভার। এমনকী, মূল অনুদান ছাড়াও জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিছু বিভিন্ন চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনার জন্য বার্ষিক প্রায় সোয়া ১ লক্ষ টাকা পুরসভার হাতে আসত।

সেই অনুদানও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসার সরঞ্জাম কিনতে গিয়ে বারবার ভাবতে হচ্ছে পুরসভাকে।পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে চিকিৎসার সরঞ্জাম স্বল্প পরিমাণে কিনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে সচল রাখতে হচ্ছে পুরসভাকে।

এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “পুরসভার যে বাজেট হয় তাতে মাইনে দিতেই পঞ্চাশ শতাংশ টাকা চলে যায়। এই বাজেটে উন্নয়ন কাজ করে। তবে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কলকাতা পুরসভার বাজেটে স্বাস্থ্য দফতরের বাজেটে চাপ পড়েছে। কারণ এটা যৌথ প্রকল্প। রাজ্য সরকার ৪০ শতাংশ দেয়। আর কেন্দ্র ৬০ শতাংশ দেয়। কিন্তু কেন্দ্র-রাজ্যের টানাপোড়েনে সেই টাকা বন্ধ। রাজ্য সরকার যে টাকা দিচ্ছে তাতে চিকিৎসকদের মাইনে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। স্বাস্থ্য মিশনের এই টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। একটাই কারণ ওরা যে রং চাইছে সেটা হয়নি বলে।” অপরদিকে, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “আমি বলছি পুরসভা শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। কোন-কোন ক্ষেত্রে টাকা দেয়। আর কোন-কোন ক্ষেত্রে টাকা দেয় না সেটা জানাক। অতীন ঘোষ প্রতিদিন পুরসভার যে স্বাস্থ্য বিভাগগুলিতে গিয়ে ফিতে কাটেন সেগুলি আসলে কেন্দ্রের টাকায় হয়েছে। আগে প্রমাণ করুন কেন্দ্র এই প্রকল্পের টাকা বন্ধ করেছে। আমি বলছি আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব।”