KMC: পুরসভার বাজেট প্রস্তাব আলোচনায় ভ্যাকসিন নিয়ে বিস্ফোরক মীনাদেবী-সজল! সামাল দিতে কী বললেন ফিরহাদ
KMC: মীনাদেবী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে তৃণমূল প্রশাসন রাজনীতি করেছে। যারা বিজেপি করেন বা যেসব বিজেপির জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাঁদের রাজনীতি করার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি।
কলকাতা: কলকাতা পুরসভার বাজেট প্রস্তাব আলোচনা। সেই আলোচনাতে থেকেও বাদ গেল না ভ্যাকসিন রাজনীতি অধ্যায়। প্রস্তাব আলোচনা পর্বে বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত তৃণমূল প্রশাসন যে বাজেট পেশ করেছে, তার বিরোধিতা করতে গিয়ে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ তুলে আনেন। মীনাদেবী পুরোহিত সরাসরি বলেন, মোদী সরকার টাকা দিচ্ছে অথচ রাজ্য সরকার নিজের নামে তা সেই কাজগুলির প্রচার করছে। তৃণমূল প্রশাসন সবসময় কেন্দ্রের বিরোধিতা করে। কিন্তু করোনার সময় মোদী সরকার যদি ভ্যাকসিন না দিত তাহলে রাজ্য সরকার কী করত? এখন ভ্যাকসিনও রাজ্য সরকার নিজেদের নামে চালিয়ে দিতে চাইছে। সেই সময় শাসক বেঞ্চে বসে থাকা তৃণমূল কাউন্সিলরর সরব হন। পাল্টা চিৎকার করতে থাকেন বিজেপি বেঞ্চে থাকা কাউন্সিলর সজল ঘোষ। পোর্ডিয়ামে দাঁড়িয়ে মীনাদেবী পুরোহিতও চিৎকার করতে থাকেন।
মীনাদেবী বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে তৃণমূল প্রশাসন রাজনীতি করেছে। যারা বিজেপি করেন বা যেসব বিজেপির জনপ্রতিনিধি রয়েছেন, তাঁদের রাজনীতি করার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। বৈষম্যমূলক রাজনীতি করেছে তৃণমূল প্রশাসন। ভ্যাকসিন রাজনীতি করে তৃণমূল প্রশাসন মানুষকে বিপাকে ফেলেছে। তৃণমূল প্রশাসন চেয়েছে, বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের বিপাকে ফেলতে। প্রত্যেককে ভ্যাকসিন দেয়নি তৃণমূল।
একইসঙ্গে মীনাদেবী বলেন, রাজ্য প্রশাসন মানুষের জন্য করোনাকালে কিছুই করেনি। শুধুমাত্র মানুষকে সমস্যায় ফেলেছে। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুরসভার বাজেটে ভ্যাকসিন রাজনীতি উঠে আসায় অস্বস্তিতে পড়ে কলকাতা পুরসভার নবনির্বাচিত তৃণমূল প্রশাসন। এভাবে বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা বাজেট প্রস্তাব ভাষণে ভ্যাকসিন নিয়ে সরব হবেন তা বুঝতে পারেননি প্রশাসনের কর্তারাও।
এরপরই বাজেট ভাষণ থেকে মাঝ পথে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, “বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতির যে অভিযোগ আনছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার মানুষের জন্য ভ্যাকসিন কিনে নিয়েছেন। আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভ্যাকসিন নিতে কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়ে বসে থাকতাম। ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে কোনও নীতির ঠিক ছিল না বিজেপি সরকারের। বৈষম্যমূলক রাজনীতি করেছে। আমাদের সবসময় কম ভ্যাকসিন দিয়ে এসেছে। আমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার যদি ভ্যাকসিন না কিনে দিত তাহলে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়ত। বাংলার মানুষের আয়করের টাকা কেন্দ্রের সরকার পেয়েছে। সেই টাকা দিয়েই ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: Anis Khan Death: ফের জামিনের আবেদন খারিজ বামনেত্রী মীনাক্ষীর, আপাতত জেল হেফাজতেই ১৬ জন
আরও পড়ুন: BJP Meeting: হাল ফেরাতে সকলকে বাঁধতে হবে এক সুরে! শনিবারই বঙ্গ বিজেপির ‘বিশেষ’ বৈঠক