Property Case: নিজেকে বলেন ‘করাপশন ফাইটার’, ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে মামলাকারী এই সমাজকর্মীকে চেনেন?

Property Case: কোথাও কোনও দুর্নীতি বা বেনিয়ম সন্দেহ হলেই সোচ্চার হওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার ভাবেন না তিনি। বিপ্লব বাবুর কথায়, তিনি 'কোরাপশন ফাইটার'। অর্থাৎ, যেখানেই দুর্নীতি, সেখানেই 'রণং দেহি' রূপ ধারণ করেন।

Property Case: নিজেকে বলেন 'করাপশন ফাইটার', ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে মামলাকারী এই সমাজকর্মীকে চেনেন?
বিপ্লব চৌধুরী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2022 | 8:27 PM

কলকাতা : ১৯ জন রাজনীতিকের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় শুক্রবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। সম্প্রতি ওই ১৯ নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন বিপ্লব চৌধুরী নামে এক জনৈক ব্যক্তি। বিপ্লব বাবু একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী। এর আগেও একাধিক মামলা লড়েছেন তিনি। আগামী দিনেও সাধারণ মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু মামলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।

বিপ্লব চৌধুরী এর আগেও বেশ কিছু মামলা করেছেন, যেগুলিও বেশ প্রভাব ফেলেছিল। টিভি নাইন বাংলার তরফে বিপ্লব চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান, অতীতে বালি খাদান থেকে শুরু করে কয়লা, বালি, মাটি, পুকুর ভরাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি। হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তি মামলাও অতীতে করেছেন তিনি এর আগে। কোথাও কোনও দুর্নীতি বা বেনিয়ম সন্দেহ হলেই সোচ্চার হওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার ভাবেন না তিনি। বিপ্লব বাবুর কথায়, তিনি ‘করাপশন ফাইটার’। অর্থাৎ, যেখানেই দুর্নীতি, সেখানেই ‘রণং দেহি’ রূপ ধারণ করেন তিনি।

১৯ জন তাবড় রাজনীতিকের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার পর কি কোনওরকম হুমকি বা অন্য কোনওরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে? টিভি নাইন বাংলার প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব চৌধুরী জানান, “এগুলো এখন আমি জল ভাত মনে করি। এগুলিকে আমি এখন আর পাত্তা দিই না। এগুলি তো আছে, থাকবে।”

আগামী দিনে কি আরও কোনও মামলা করার পরিকল্পনা রয়েছে ‘করাপশন ফাইটার’ বিপ্লব চৌধুরীর? সোজাসাপ্টা জবাব, অবশ্যই পরিকল্পনা রয়েছে। বিপ্লব বাবু জানান, “মানবাধিকার কমিশনের চেয়ার পার্সনের মামলা এখনও পেন্ডিং। ওখানে কোনও চেয়ারম্যান নেই। তেমনই ইনফর্মেশন কমিশনে কোনও চিফ ইনফর্মেশন কমিশনার নেই। এটা নিয়ে কাজ চলছে এখনও। সব সংস্থাগুলিকে পঙ্গু করে রেখে যাতে দুর্নীতি চালানো যায়, তার বিরুদ্ধেই আমার প্রয়াস।”