AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হার কেন? এক মাস পর কারণ খুঁজে বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে হতে পারে বড়সড় রদবদল

রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা। দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত, বদলাতে পারেন বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতি (Bengal BJP)। আগামী ৮ জুন পর্যালোচনা বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

হার কেন? এক মাস পর কারণ খুঁজে বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে হতে পারে বড়সড় রদবদল
ছবি- টুইটার
| Updated on: Jun 06, 2021 | 11:17 AM
Share

কলকাতা: রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা। দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত, বদলাতে পারেন বেশ কয়েকজন জেলা সভাপতি (Bengal BJP)। আগামী ৮ জুন পর্যালোচনা বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। রিপোর্ট যাবে দিল্লির দলের সদর দফতরে।

২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ফল প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্য বিজেপি নেতারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। কিন্তু এবার এক মাস পেরিয়ে বেশ কয়েকটা দিন কেটে গিয়েছে। নির্বাচনী হারের পর্যালোচনা করার তাগিদ সে অর্থে বিজেপি নেতাদের মধ্যে দেখা যায়নি।

একুশের নির্বাচন বিজেপির রেজাল্টকে অনেকেই বিপর্যয় বলে মনে করছেন। আবার বিশ্লেষক তথা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এটা বিপর্যয় নয়। কারণ ২০১৬ সালে বিধানসভায় আসন ছিল ৩টি। সেখান থেকে এবার ৭০ টা আসন।

কিন্তু একুশের নির্বাচনে এবার ২০০ টার্গেট রেখেছিল পদ্মশিবির। মোদী-শাহ জুটি বাংলায় বারবার এসে স্লোগান চড়িয়েছেন, “ইস বার দুশো পার…” কিন্তু প্রত্যাশার পারদ চড়লেও ফল শূন্য। কারণ একশোরও গণ্ডি পেরোতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু কেন এমনটা হল? খামতি রয়েছে কোথায়? তা নিয়ে গণনা পরবর্তী সময়ে বাংলায় প্রচুর আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে যারা, অর্থাৎ সেই বিজেপি পদ্মশিবির কিন্তু এখনও পর্যন্ত পর্যালোচনার পথে হাঁটেনি! এবার হাঁঁটতে চলেছে।

নির্বাচন ফল প্রকাশের পরবর্তী সময়ে রাজ্য বিজেপি নেতারা একাধিকবার আলোচনা করেছেন। কখনও সশরীরে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে, কখনও বা ভার্চুয়ালি। কিন্তু সূত্রের খবর, সেগুলির একটিতেও হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা হয়নি, বা বলা ভালো ভরাডুবির প্রসঙ্গ ওঠেনি। কয়েক জন নেতা এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেও, তাঁদের থামতে বলা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

এ প্রসঙ্গে দলেরই শীর্ষদের একাংশের মত, হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা করলে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা উঠে আসবে। সেটা এড়াতেই এতদিন নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক এড়ানো হয়েছিল। তবে বঙ্গ নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে বসেই এহেন কাটাছেঁড়া করতে চান।

আরও পড়ুন: ‘বিধানসভায় দমবন্ধ করে দেব…’ ফের বিস্ফোরক দিলীপ, ‘হেরে ভূত হয়ে বড় বড় কথা’, পাল্টা তৃণমূল

বিজেপির হারের ক্ষেত্রে বিশ্লেষকদের অনেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন। তাঁদের মতে, এবারের নির্বাচনে বিজেপিতে দিলীপ ঘোষ-জয়প্রকাশরা কোনও ফ্যাক্টরই ছিলেন না। যা করার করেছেন মোদী-শাহই। পাশাপাশি এও প্রসঙ্গও উঠেছে, , প্রায় দেড়শ জন তৃণমূল-ত্যাগী নেতাকে প্রার্থী করা মেনে নেননি আদি বিজেপি তথা বঙ্গবাসী। সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং বিজেপি-র রাজ্য তথা জেলার নেতাদের ‘অতিরিক্ত নিশ্চয়তাই’ এই হারের কারণ বলে মত বিশ্লেষকরা। এবারে বৈঠকে এবার সব কিছু নিয়েই হবে চুলচেরা বিশ্লেষণ।