শুভেন্দু দলে যোগ দিতেই নারদ ভিডিয়ো ‘ভ্যানিশ’ করল বিজেপি!
কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বলেছে, 'ওয়াশিং পাউডার বিজেপি'।
কলকাতা: তাঁরও নাম উঠে এসেছিল অভিযুক্তের তালিকায়। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই রাতারাতি দলের ইউটিউব চ্যানেল থেকে মুছে গেল নারদ স্টিং অপারেশন সংক্রান্ত সমস্ত ভিডিয়ো।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় করে প্রকাশ্যে এসেছিল নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজ। তৃণমূলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ ছিলেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। নির্বাচনের ঠিক আগেই এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে জোর প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি।
নির্বাচনের আগেই বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে ফুটেজগুলি দেখিয়েছিলেন তত্কালীন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং। তবে ভিডিয়ো ফুটেজ তৃণমূলের রেজাল্টে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি। ক্ষমতায় থেকে যায় তৃণমূল। পরে রাজনৈতিক মঞ্চে বেশ কিছু পালাবদলও হয়। ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়, ২০১৯-এ শোভন চট্টোপাধ্যায়।
তবে তখনও কিন্তু বিজেপিকে এইভাবে ভিডিয়োগুলিকে মুছে ফেলতে দেখা যায়নি। শুভেন্দু অধিকারীর যোগদানের পরই বিজেপির ইউটিউব চ্যানেল থেকে মুছে দেওয়া হল সমস্ত ভিডিয়ো। কিন্তু কেন? এবিষয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দায় ঝেড়ে ফেলেছে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি কিছু জানি না।”
আরও পড়ুন: ‘আর কিছুদিন আছো, করে খাও’, দুয়ারে সরকারের বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীপক্ষ। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই বলেছে, ‘ওয়াশিং পাউডার বিজেপি’। শুভেন্দুর যোগদান নিয়ে বিজেপির একাংশের মনে চাপা ক্ষোভ ছিলই। তাঁদেরই একাংশের মত, যে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি মানুষের ক্ষোভ আগে থেকেই রয়েছে, তাঁদের দলে নেওয়া বন্ধ না হলে একুশের জয় অধরা থাকবে বিজেপির।