Kolkata Bus: ১ বছরের জন্য মকুব করা হোক সমস্ত কর, অন্যথায় বন্ধ পরিষেবা, হুঁশিয়ারি জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের

Kolkata: রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাস মালিক সংগঠনের কর্তা তপন বন্দ্যোপাধ্যায়  জানিয়েছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৩ টি জেলার বাস মালিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে কলকাতায়।

Kolkata Bus: ১ বছরের জন্য মকুব করা হোক সমস্ত কর, অন্যথায় বন্ধ পরিষেবা, হুঁশিয়ারি জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের
বাসে লাগাতে হবে ভাড়ার তালিকা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 18, 2022 | 2:28 PM

 কলকাতা:  বর্তমানে বাস পরিবহণের (Private Bus) সমস্যা গুলির স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। আগামী ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের সমস্ত কর এবং ফিজ মকুব করতে হবে। এই দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠাতে চলেছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। এই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্য সরকার সাময়িকভাবে বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কিন্তু তার কোনো স্থায়ী সমাধান করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। আগামী দিনে যাতে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেই দাবি করেছেন বাস মালিক সংগঠন।

রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাস মালিক সংগঠনের কর্তা তপন বন্দ্যোপাধ্যায়  জানিয়েছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২৩ টি জেলার বাস মালিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে কলকাতায়। ঐদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজন হলে রাস্তায় বাস না নামানোর মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের কর্তারা।

তপনবাবু আরও  জানিয়েছেন, আগামী ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সব ধরণের ট্যাক্স বা ফিজ মকুব করে দিতে হবে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছিলেন আগামী তিন মাসের জন্য ১৫০০ টাকা সর্বোচ্চ জরিমানা দিয়ে ফিটনেস টেস্ট করাতে পারবেন বাস মালিকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত তা শুরু করা হয়নি।

ইতিমধ্যেই, কলকাতায় যাঁরা নিত্যদিন অফিসে আসেন, তাঁদের অনেকেই এখন এক নতুন সমস্যায় পড়েছেন। অফিস থেকে বেরিয়ে বাসের জন্য হন্যে হয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে অনেককেই। শুধু অফিস ছুটির সময় নয়, বিকেল থেকেই এই ঘটনা শুরু হয়ে যাচ্ছে। অফিসযাত্রীদের অনেকেই বলছেন, বিকেলে কিংবা সন্ধের পর থেকেই শহর কলকাতার রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমে যাচ্ছে হু হু করে। কারণ, হিসেবে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের (Bus Owners Association) কর্তারা জানিয়েছেন, মূলত সরকারি জরিমানার আতঙ্কের কারণে অনেকে রাস্তায় বাস নামাচ্ছেন না।

একে কোভিড, তায় মোটা টাকার জরিমানার ধাক্কা, সব মিলিয়ে বাস মালিকদের কপালে শিরে-সংক্রান্তি।  ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে না পারলেই চলছে ধরপাকড়। উল্লেখ্য, ধর্মতলায় যে মিনিবাসটি উল্টে গিয়েছিল, জানা গিয়েছে সেটির কোনও ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না। আর তারপর থেকেই নতুন করে কড়াকড়ি শুরু হয়ে যায়। পরিবহণ মন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়ে রাখেন, আনফিট বাস দেখলেই অবিলম্বে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারপর থেকে অনেক বাসকেই আটক করা হয়েছে।  এইভাবে চলতে থাকলে রাস্তায় বাস নামানোই সমস্যা হবে বলে জানিয়েছিল বেসরকারি বাসগুলির একাধিক সংগঠন। তারপর, আগামী তিন মাসের জন্য ১৫০০ টাকা সর্বোচ্চ জরিমানা দিয়ে ফিটনেস টেস্ট করাতে পারবেন বাস মালিকরা এমনটাও ঘোষণা করেছিলেন পরিবহন মন্ত্রী। কিন্তু, তাতেও খরচ কুলোচ্ছে না। বিগত দুই বছর যে বিপুল পরিমাণ আয়হীন ব্যয় হয়েছে তা সামাল দিতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন বাস মালিকরা। এই পরিস্থিতিতে তাই তিন মাসের জন্য নয়, স্থায়ী সমাধান চাইছেন বাস মালিকরা।

আরও পড়ুন: Adani-Nabanna Meet: সত্যি হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বপ্ন’? নবান্নে আদানির বার্তাবাহক, তাজপুর বন্দর নির্মাণে বিশেষ বৈঠক