নতুন বছরে নতুন প্রত্যয়, গুড় বাঁচাতে এবার চাষিদের পাশে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা
প্রীতম দে: নলেন গুড়ের সুপলে। গুড়ের রস মালাই কেক। সীতা গুড়ের পায়েস। গুড়ের ক্ষীর দই । নতুন গুড়ের নতুন এইসব মিষ্টি খেয়ে জেন সবাই বলছে, ‘ও-সাম’। নববর্ষের শুরু থেকে শুরু হওয়া গুড়ের তের পার্বণের থিম এটাই। গুড় পপুলার হলে লাভের মুখ দেখতে পারেন গুড় চাষিরা। মোয়ার বর্তমান অবস্থা খারাপ। নলেন গুড়ের ভবিষ্যত ভেবে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের […]
প্রীতম দে: নলেন গুড়ের সুপলে। গুড়ের রস মালাই কেক। সীতা গুড়ের পায়েস। গুড়ের ক্ষীর দই । নতুন গুড়ের নতুন এইসব মিষ্টি খেয়ে জেন সবাই বলছে, ‘ও-সাম’।
নববর্ষের শুরু থেকে শুরু হওয়া গুড়ের তের পার্বণের থিম এটাই। গুড় পপুলার হলে লাভের মুখ দেখতে পারেন গুড় চাষিরা। মোয়ার বর্তমান অবস্থা খারাপ। নলেন গুড়ের ভবিষ্যত ভেবে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের সংগঠন মিষ্টি উদ্যোগের সকলে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন শীতের মাঠে।
এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পিৎজা চকলেট বার্গারে অভ্যস্ত। তাঁদের কাছে গুঁড়ের গুণ গাইতে কত না নতুন মিষ্টির আইটেম। যেমন হাওড়ার ব্রজনাথ গ্র্যান্ড সন্সের মিষ্টি শিল্পী অসীম কুমার দাশ বলছেন, ” আমাদের নলেন গুড়ের রসমালাই কেক হট কেক এখন। নতুন বছরে নতুন গুড়ের নতুন এইসব মিষ্টি আকর্ষণ করছে এই জেন এক্স ওয়াই সবাইকে।”
ব্যাতাই তলার মিষ্টান্ন ভান্ডারের সৈকত পালের সম্ভারে সীতা গুড়ের পায়েস। কিংবা আয়েস করে গুড়ের ক্ষীর দই। দইও বাঁচল গুড়ও মরল না। রসগোল্লার আঁতুড়ঘরকে সি দাশ কিংবা ১৪০ বছরের বলরাম সতীশ ময়রা বেকবাগানের মিঠাই বা ফেলু মোদক কিংবা পাড়ার কম চেনা মিষ্টির দোকান কম করে জনা পঞ্চাশেক মিষ্টি স্রষ্টারা পালন করছেন গুড় উৎসব।
আমফানের ফলে ক্ষতি হয়েছে গুড় চাষিদের। কারও কারও গাছটাই আর নেই গুড় আসবে কোত্থেকে।বয়স্কদের এখনও গাছে উঠতে হচ্ছে তার কারণ এ প্রজন্ম আগ্রহী নয় এ পেশায়। গাছে উঠে শরীরে ক্ষতের পরিমাণ প্রতিবছরই বাড়ে। সারানোর পয়সা নেই। নেই গাছে ওঠার সরঞ্জাম দড়ি, জ্যাকেট ইত্যাদি। বাগবাজারের কেসি দাশের রসগোল্লার আতুড়ঘরে মূল অনুষ্ঠান। থাকছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা । মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি ধীমান দাস বলেন , ” রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। চাষি ভাইদের পাশে দাড়াতে চাই । না হলে নলেন গুড়টাই উঠে যাবে। “