Kolkata ED: মাছ ব্যবসার আড়ালেই রঙিন কার্যকলাপ, কোটি কোটি টাকা খাটত তাতে, ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রভাবশালী মন্ত্রীদেরও
Kolkata ED: ইডি সূত্রে খবর, কলকাতার একাধিক কাউন্সিলর ও উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে মৃধার ভাল ওঠাবসা ছিল।
কলকাতা: লোকে জানতেন মাছের ব্যবসা করছেন। কিন্তু তা করেই তিন তলা ঝাঁ চকচকে বাড়ি। কেতাদুরস্ত একাধিক গাড়ি। বিলাসবহুল জীবনযাপন। কীভাবে সম্ভব? সাতসকালে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি হানা দিতেই বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস। আসলে মাছ ব্যবসার আড়ালে বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে জড়িত তিনি। রয়েছে বেআইনি পাচারের অভিযোগও। আন্তর্জাতিক হাওয়ালা চক্রে পর্দাফাঁস বাংলায়। সাতসকালে কলকাতার আরও এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি। উত্তর ২৪ পরগনার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মৃধার বাড়িতে তল্লাশি চালালেন ইডি আধিকারিকরা।
কলকাতায় সুকুমারের বাইপাস ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। অভিযোগ, মাছের ব্যবসার আড়ালে চলছিল তাঁর বিপুল পরিমাণ বেআইনি লেনদেন। বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইডি জানতে পেরেছে, আদতে বাংলাদেশি সুকুমার মৃধার ব্যবসায় টাকা খাটাতেন প্রভাবশালীরাই। ইডি সূত্রে খবর, কলকাতার একাধিক কাউন্সিলর ও উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতা ছিল মৃধার। হাওয়ালা নেটওয়ার্ক মারফত কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকাগুলিতে খাটানো হত। প্রাথমিকভাবে তেমনই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, মৃধার বেশ কয়েকশো কোটি টাকার বেআইনি ব্যবসার ও লেনদেন এখন ইডির র্যাডারে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক হাওয়ালা চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকা। প্রণব অধিকারী নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হত, তার খোঁজ চলছে।
প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত দেখা গিয়েছে ভারত থেকে বাংলাদেশে টাকা যায়। এবার দেখা গেল বিদেশ থেকে ভারতে টাকা আসছে। এই রাজ্যকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক হাওয়ালা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারত সরকারকে জানানো হয়। তারপরই ইডি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সকাল ৬টার সময়ে বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে রাজারহাট, দমদম ও উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে। বাইপাসে একটি অফিস রয়েছে, সেখানে চলছে তল্লাশি। কীভাবে টাকা আসত, তা জানার চেষ্টা করছে। তাঁরা মাছ ব্যবসা ছাড়া অন্যান্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অনেকগুলো ভুয়ো কোম্পানি তাঁরা খুলেছিলেন। টাকা অন্য সংস্থায় বিনিয়োগ করা হত।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকেই কলকাতার নামী বিল্ডার অভিজিৎ সেনের বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল। যোধপুর পার্ক, সাউথ সিটি-সহ চার জায়গায় তল্লাশি চলছিল। অভিজিৎ কনস্ট্রাকশন নামে একটি নির্মাণ সংস্থার মালিক অভিজিৎ সেন নামে ওই ব্যবসায়ী। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে অফিস ছিল এই ব্যক্তির। কয়েকশো কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগের মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। সব খতিয়ে দেখছে ইডি।