Firhad Hakim: কবে মিটবে ঘোলা জলের সমস্যা? স্পষ্ট করলেন ফিরহাদ হাকিম
Firhad Hakim: কলকাতা পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ঘোলা জলের সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।
কলকাতা: পানীয় জল ঘোলা! হাহাকার হুগলি, চুঁচুড়া, কামারহাটি, উত্তর বারাকপুরে। তবে কলকাতা পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ঘোলা জলের সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে।
ফিরহাদ হাকিমের আশ্বাস, “ব্যারাজের জল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবারই এটা হয়। বর্ষাকালে বেশি বৃষ্টি হলে গঙ্গার জলে বেশি পলি পড়ে। তবে এটা দু’একদিনের সমস্যা। আস্তে আস্তে পলি বসে যাবে। আবার সমস্যা মিটে যাবে।”
বানভাসি রাজ্যের একাধিক জেলা। তারই মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ঘোলা জল আতঙ্ক। জলের কল খুলতেই আঁতকে উঠছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কোথাও জল লাল, কোথাও ঘোলাটে। জল যন্ত্রণা কাটতে না কাটতেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় অন্য বিপদ।
কল থেকে বেরোচ্ছে ঘোলা জল। রবিবার থেকে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সোমবার কিছুটা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়। শুধু হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা নয়, খাস কলকাতাতেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। উল্টোডাঙার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার কল খুলতেই নজরে আসে একেবারে সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল। বিকেলের দিকে তা কিছুটা বদলালেও পুরোপুরি স্বচ্ছ নয়। বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণেই এমন ঘটনা বলে দাবি করেছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই বাঁধগুলো থেকে জল ছাড়ার কারণে জলের মান একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছে। খুব কাদা, ঘোলা জল আসছে। নদী থেকে যে পরিমাণ জল আমরা তুলি তা তুলতে পারছি না। সে কারণে জল আমরা দু’ চারদিন কমিয়ে দিচ্ছি, যতদিন না এই পরিস্থিতি ঠিক হয়। এরকম এর আগে কোনওদিনও হয়নি। এই জলের জন্য কেএমডিএর-ও কয়েকটা প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে রয়েছে। এত কাদা। কতগুলো জায়গায় খুব অল্প জল, একেবারে উপরিভাগ থেকে নিচ্ছি।’