‘হঠ্ করে ভারী কিছু পড়ল মনে হল… চোখ পড়ল চাপ চাপ রক্তে আর কাকিমা তখন কাতরাচ্ছেন…’

Golf Green Suicide: পাশেই পড়ে পাশের বাড়ির 'কাকিমা'র শরীরটা। মাথা-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে।

'হঠ্ করে ভারী কিছু পড়ল মনে হল... চোখ পড়ল চাপ চাপ রক্তে আর কাকিমা তখন কাতরাচ্ছেন...'
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2021 | 2:15 PM

কলকাতা: লকডাউনের রবিবারের সকালটা আর পাঁচটা দিনের মতোই শুরু হয়েছিল গল্ফগ্রিনের রসা রোডে। ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোম’ও না থাকায় অনেকেই ছুটির সকালে পেপার হাতে ব্য়ালকনিতে বসেছিলেন। ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে ১০টা তখন! আচমকাই একটা ভারী কিছু পড়ার শব্দ শুনতে পেরেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তখনও বিপদ আঁচ করতে পারেননি কেউ। চোখের পড়ে রাস্তার ওপর পড়ে থাকা চাপ চাপ রক্তে। পাশেই পড়ে পাশের বাড়ির ‘কাকিমা’র শরীরটা। মাথা-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। রবির সকালে গল্ফ গ্রিনের রসা রোডে (Kolkata Golf Green Suicide) মর্মান্তিক ঘটনা।

রসা রোডের বহুতলের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা বেনিতা মুখোপাধ্যায়। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে দীর্ঘদিন আগেই। একমাত্র ছেলে ও পুত্রবধূ কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন। লকডাউনের বছর দুয়েক বাড়ি ফেরেননি তাঁরা। একাই থাকতেন বৃদ্ধা। করোনা কালে নিজেও বাড়ি থেকে খুব একটা বেশি বেরোতেন না। পরিচারকই বেশিরভাগই কাজ করতেন।

রবিবার সকালে তাঁকে বাড়ির নীচেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবেশীরা ঘটনায় স্তম্ভিত। প্রতিবেশীদের কথায়, এর আগেও বছর বাষট্টির বেনিতাকে ওতটা অস্বাভাবিক লাগেনি তাঁদের কাছে। ছেলে-বউমা বাইরে থাকায় একাকীত্বে ভুগতেন তিনি। প্রতিবেশীদের সে কথা জানাতেনও। কিন্তু এমন কোনও পদক্ষেপ করতে পারেন বলে ভাবতেও পারেননি প্রতিবেশীরা।

স্থানীয় এক জন বললেন, “ভারী কিছু পড়ল বলে শুনলাম। দৌঁড়ে আসি। সকাল সাড়ে ১০টা। দেখি ব্যালকনির নীচে কাকিমা পড়ে রয়েছেন আর রক্ত বয়ে যাচ্ছে।” প্রতিবেশীরা শোকস্তব্ধ। পাড়ার একাকী বৃদ্ধার এহেন পরিণতিতে স্থবির তাঁরা।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই বৃদ্ধা মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একাকীত্বের কারণেই ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। বৃদ্ধার অন্য কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও পড়ুন: বাইকের হ্যান্ডেলে ঝুলছিল একটা চটের ব্যাগ! তাতেই লুকিয়ে ২৫ কোটি টাকার ‘সম্পত্তি’ COVID third Wave