টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের দেওয়া হত এদেশের ভুয়ো নাগরিকত্বের নথি! লেক টাউনে বড় চক্র ফাঁস

Kolkata: গত জুন মাসের ১৯ তারিখ ভুয়ো নথি সহ এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে লেক টাউন থানার পুলিশ।

টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের দেওয়া হত এদেশের ভুয়ো নাগরিকত্বের নথি! লেক টাউনে বড় চক্র ফাঁস
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 11:00 AM

কলকাতা: টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের মিলত ভুয়ো ভারতীয় নাগরিকত্ব। জাল সরকারি পরিচয় পত্র তৈরি চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করল লেক টাউন থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করা বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছে টাকার বিনিময় পৌঁছত জাল সরকারি পরিচয় পত্র। এমনই তথ্য বাংলাদেশি নাগরিককে জেরা করে উঠে আসে লেক টাউন থানার তদন্তকারী অফিসারদের কাছে।

গত জুন মাসের ১৯ তারিখ ভুয়ো নথি সহ এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে লেক টাউন থানার পুলিশ। তাঁর কাছ থেকেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেআইনি ভাবে প্রবেশের পর টাকা দিয়ে তৈরি করেছিল ভারতীয় নাগরিকত্বের জাল নথি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে লেক টাউন থানার পুলিশ।

অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লেক টাউন থানার পুলিশ হানা দেয় নিউটাউন এলাকায়। সেখান থেকেই ভুয়ো সরকারি পরিচয় পত্র তৈরির চক্রের মূল পান্ডা শেখ গোলাম মোর্তজাকে গ্রেফতার করে লেক টাউন থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আমডাঙার বাসিন্দা এই অভিযুক্ত নিউটাউন এলাকায় ভুয়ো সরকারি নথি এবং ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরির কাজ চালাত।

এই ঘটনার সঙ্গে বড় চক্র জড়িত আছে বলেও পুলিশের অনুমান। টাকার বিনিময় বিদেশি নাগরিকদের ভুয়ো ভারতীয় নাগরিকত্ব তৈরি করে দিত এই চক্র। শুক্রবার অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের বাকিদের খোজে তল্লাশি চালাচ্ছে লেক টাউন থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত মাসেই স্বরূপনগর সীমান্তে ৪ মহিলা সহ ৯ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানার বিথারি-হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ তারালি সীমান্তে সন্দেহজনকভাবে ৯ জনকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তাঁদের।

১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের আটকে প্রশ্ন করেন। কথায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তল্লাশির পর বিএসএফ দেখে তাঁরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে ঢুকেছেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা ওই বাংলাদেশিদের আটক করে স্বরূপনগর থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।

ধৃতদের মধ‍্যে ৪ মহিলা ও পাঁচ পুরুষ রয়েছেন। এই ৯ বাংলাদেশির বাড়ি যশোহর ও খুলনা জেলার বিভিন্ন গ্রামে। কী কারণে তাঁরা এদেশে ঢুকছিলেন, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি কলকাতার বুক থেকে এসটিএফের জালে ধরা পড়েছে জেএমবি মডিউল। তাদের লিঙ্কম্যান হিসাবে উঠে এসেছে লালু ওরফে রাহুল সেন নামে এক যুবকের নাম। লালু জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। জানা যাচ্ছে, সীমান্ত এলাকায় সক্রিয় লালু সেন। সীমান্তের পরিভাষায়, লালু মূল ত ‘ধূরের’ কাজ করত। নথি ছাড়াই মানুষকে এপার থেকে ওপার পৌঁছে দেওয়া বা সীমান্ত পেরিয়ে বিভিন্ন জিনিসের আদানপ্রদান- এসব করত লালু। তদন্তকারীরা মনে করছেন, লালুর মতো এরকম অনেক ‘ধূর’ সীমান্তে সক্রিয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনী আরও নজরদারি চালাচ্ছে এলাকায়। আরও পড়ুন: বাঁ হাতের মাংস খুবলে তুলে নিয়েছে কেউ! তৃণমূল নেতার রহস্যমৃত্যু