একমো মেশিন চালানোর লোকই নেই, মৃত্যু মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় প্রধানের
একমো মেশিন চালানোর লোকের অভাবে এর আগেও একইভাবে আরেক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল। আগের ভুল থেকে যে শিক্ষা নেওয়া হয়নি তা স্পষ্ট
কলকাতা: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ছিল, কিন্তু তা চালানোর লোকই নেই। ফলে করোনা আক্রান্ত মেডিক্যাল কলেজের (Kolkata Medical College) চিকিৎসককে পাঠাতে হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকাতে। সেখানেই মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হল যাদব চট্টোপাধ্যায়ের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, গত ৮ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান যাদব চট্টোপাধ্যায়। এরপর ১৬ ডিসেম্বর মেডিক্যাল কলেজেই সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তবে ধীরে ধীরে ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়তে শুরু করে যাদববাবুর। ফুসফুসের পেশী ৯৫ শতাংশ অচল হয়ে পড়ায় একমো সাপোর্ট প্রয়োজন পড়ে। অকেজো ফুসফুসকে সচল রাখার একমো মেশিন থাকা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে থাকা সত্ত্বেও তা কাজে লাগানো যায়নি। কারণ তা চালানোর লোকই নেই।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ক্রমেই কমছে ভ্যাকসিন প্রাপকের সংখ্যা, সমস্যা বাড়াচ্ছে ‘কো-উইন’
এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক যাদব চট্টোপাধ্যায়কে পাঠাতে হয় বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকাতে। সেখানেই মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যু হয় এই খ্যাতনামা চিকিৎসকের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই নিয়ে রাজ্যে ৯৩ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হল। প্রসঙ্গত, এর আগে একই ভাবে একমো মেশিন চালানোর লোকের অভাবে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সেই ভুল থেকে কোনও শিক্ষাই নেওয়া হয়নি তা এদিনের ঘটনা প্রমাণ করে দিল।
আরও পড়ুন: রামেও রাজি! শিবসেনার জন্য জোটের দরজা খুলে দিল বামেরা