Kolkata Metro: বউবাজারে বাড়ি তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের, ফাটল আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে রায় পরিবারের
Kolkata Metro: সমীক্ষকদের রিপোর্ট আসার আগে কেন বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। রিপোর্ট দেখার দাবিও জানিয়েছেন বউবাজারের বাসিন্দারা।
কলকাতা: মেট্রোর (Metro Rail) সুড়ঙ্গ খুঁড়তে গিয়ে আবার ফাটল। ফের বাড়ি ভাঙাভাঙির পথে বউবাজার। সোমবার থেকে ভাঙা শুরু দুর্গাপিতুরি লেনে ১৬ ও ১৬/১ দুটি বাড়ি। ধাপে ধাপে ভাঙার কাজ চলবে। প্রয়োজনে পুরোটাই ভেঙে ফেলা হবে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হবে বাড়ি ভাঙার কাজ। মঙ্গলবার থেকে ভাঙা হবে ১৫ নম্বর দুর্গাপিতুরি লেনে বাড়ি। এদিকে আচমকা একের পর এক পরিবার ঘর ছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে বউ বাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। এদিকে বউবাজারেই বাড়ি বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Trinamool MP Tapas Ray)। ফাটল আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে রায় পরিবারেরও। চলছে বিকল্পের খোঁজ।
এই প্রসঙ্গে তাপস রায় বলেন, “আমার স্ত্রী-কন্যা খুবই চিন্তিত। আমার চেলে বাইরে রয়েছে। এই খবর শোনার পর আমার স্ত্রী ও মেয়ে ভালো করে ঘুমায়নি। আমারও ঠিক করে ঘুম হয়নি। চিন্তায় মাঝেমাঝেই ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। বাড়ির লোকজন তো বলছে তাড়াতাড়ি একটা বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজ করতে। দেখা যাক কী হয়”! রাতারাতি মাথার উপর থেকে ছাদ চলে যাচ্ছে বউবাজারের একাধিক পরিবারের। এদিকে ৭-৮ পুরুষের আবেগও ঘরময় ছড়িয়ে। তাই ভাঙাভাঙির সিদ্ধান্ত হলেও শান্তি পাচ্ছে না বউ বাজার।
কিন্তু বাড়ি ভাঙলেই কী সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? এমনটা একদমই নয়। কলকাতা পুরসভা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে সমীক্ষা করার দায়িত্ব দিয়েছে। অন্যদিকে আইআইটি রুরকিকে দায়িত্ব দিয়েছে কেএমআরসিএল। তাদের রিপোর্ট আসার আগে কেন বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এমনকী রিপোর্টে কী ফল এল তা দেখানোরও দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে ঘরছাড়াদের কেএমআরসিএল আশ্বাস দিয়েছে সমস্ত জিনিসপত্র মেট্রোর গুদামে রাখা হবে। স্থানান্তরের সময় ভিডিও গ্রাফিও করা হবে। এমনকি এখনকার পরিস্থিতির জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন কেএমআরসিএল কর্তারা।