Fake Call Centre: শহরের বুকে ফের ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ, গ্রেফতার ১২
Fake Call Centre: গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে, গতকাল রাতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ওই বাড়িতে অভিযান চালান।
কলকাতা: ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত ১২ জন। একবালপুর থানা এলাকার ডায়মন্ড হারবার রোডে ভুয়ো কল সেন্টার খোলা হয়েছিল। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু ইলেকট্রনিক জিনিস ও নথিও বাজেয়াপ্ত করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
দীর্ঘদিন ধরেই ডায়মন্ডহারবার রোডে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই ভুয়ো কলসেন্টারটি চলছিল। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে, গতকাল রাতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা ওই বাড়িতে অভিযান চালান। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হবে। তাঁদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। কতদিন ধরে এই কলসেন্টারটি চলছিল, আর কে কে জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে।
পরপর ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মিলছে কলকাতায়। এর আগে তারাতলা থেকে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় সাতজনকে। মাস খানেক আগে ওই এলাকায় এক বহুতলে অভিযান চালায়। ওয়েবেল আইটি পার্কের সেই বহুতলের তিন তলার একটি ঘরে হানা দিয়ে রীতিমতো চমকে যান পুলিশের দুঁদে কর্তারা। শহরের বুকে একেবারে সাজিয়ে খোলা হয়েছিল ভুয়ো কলসেন্টার। সাজানো ছিল একাধিক কম্পিউটার, উচ্চমানের গ্যাজেসট। একাধিক টেলিফোন ছিল। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আরও তথ্য বেরিয়ে আসে। পুলিশ জানতে পারে এলাকায় আরও একটি কল সেন্টার রমরমিয়ে চলছে। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই হানা দেয় পুলিশ।
কিছুদিন আগেই বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ সেক্টর ফাইভে দুটি ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায়। সেখানে চলে রাতভর তল্লাশি। দশ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বেশ কিছু ডিভাইস ও নগদ টাকা। নিউটাউনের একটি কল সেন্টারে হানা দিয়েও ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিউটাউন ‘গ্রিন উড এক্সটেনশন’ বিল্ডিংয়ে হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকেই চলছিল প্রতারণা চক্র। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা কমলেশ কুমার আর্য-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ। পার্কস্ট্রিটে এ ভাবেই ভুয়ো কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল। একটি বিশ্বখ্যাত সংস্থার নাম করে কল সেন্টার খুলেছিলেন ধৃতরা। সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেখানেও কম্পিউটার সারানো কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটস সারানোর নাম করে প্রতারণার জালে ফেলা হত। বিদেশিদের টেক সাপোর্টের নাম করে এই প্রতারণা চলত বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় ক্ষুদ্র শিল্প নিগম থেকে ১৭৩.৫০ কোটির প্রতারণা! শহরের বড় ব্যবসায়ীর বড়সড় প্রতারণার পর্দাফাঁস