SLST চাকরি প্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে ধুন্ধুমার, চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তুলল পুলিশ

SLST : এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চে পুলিশ। ‘পিসি হায় হায়, অভিষেক হায় হায়’, পুলিশের গাড়ি থেকেই স্লোগান দিতে দেখা গেল একাধিক SLST চাকরি প্রার্থীদের।

SLST চাকরি প্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে ধুন্ধুমার, চ্যাংদোলা করে আন্দোলনকারীদের তুলল পুলিশ
ছবি - এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চে ধুন্ধুমার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 6:27 PM

কলকাতা: আগেই এসেছিল পুলিশি (Kolkata Police) নির্দেশিকা। বলা হয়েছিল সারাদিন ধরে অনশন মঞ্চে বসে থাকা যাবে না। বিকেল ৫টার মধ্যে ধর্না তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আন্দোলনকারীরা সে দাবি না মানায় বলপূর্বক তাঁদের সেখান থেকে তুলে দেয় পুলিশ। কার্যত চ্যাংদোলা করে মহিলা আন্দোলনকারীদেরও ধর্না মঞ্চ থেকে তুলতে দেখা যায়।  সূত্রের খবর, এদিন প্রথমে শহিদ মিনারের সামনে থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু, তাতে কর্ণপাত না করে অবস্থান চালিয়ে যান অবস্থানকারীরা। জোর করে অবস্থান তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ব্য়াপক ধস্তাধস্তি শুরু হয় আন্দোলনকারীদের। এক এক করে আন্দোলকারীদের কার্যত টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে। 

পুলিশের বিরুদ্ধে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন মঞ্চ ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওই সময় রাস্তাতেই শুয়ে পড়তে দেখা যায় এক চাকরি প্রার্থীদের। রাস্তাতে শুয়েই তিনি বলেন, ”আমি কী চোর? কী চুরি করেছি যে পুলিশ এ ভাবে অত্যাচার করছে। আমি মরে গেলে আমার বাড়ির লোক চাকরি পাবে। হয় আমাকে চাকরি দিন, নাহলে আমাকে মেরে ফেলুন”। অন্যদিকে পুলিশের গাড়িতে উঠে আর এক চাকরি প্রার্থীকে উত্তেজিত হয়ে বলতে শোনা যায়, ”আমরা নয় আজ এখান থেকে আমাদের লাশ যাবে”।  মহিলা চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে মহিলা পুলিশ কর্মীদেরও ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। 

রাস্তাতেই শুয়ে কার্যত কাঁদতে কাঁদতে এক মহিলা চাকরি প্রার্থী বলেন, ”আমাদের কী অপরাধ? আমরা ৭০ দিন ধরে দিনরাত পড়ে রয়েছি। আলিপুরদুয়ার থেকে এসেছি আমরা। আমরা শুধু একটা নোটিশ চাইছি”।  এদিকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মধ্যে অনেক মহিলা প্রার্থী আহত হয়েছেন ভলেও শোনা যাচ্ছে। এদিকে পুলিশের গাড়িতে উঠে সরকার বিরোধী স্লোগানও দিতে থাকেন অনেক চাকরি প্রার্থী। গাড়ির মধ্য থেকেই স্লোগান ওঠে ’পিসি হায় হায়, অভিষেক হায় হায়’। মোট তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয় চাকরি প্রার্থীদের। প্রসঙ্গত, মমতা জমানায়  একাধিক বড়সড় বিক্ষোভের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা। কিন্তু, এভাবে চাকরি প্রার্থীদের কার্যত চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলার ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।