ISIS Terror Link: সিরিয়া, সৌদি আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে টেলিগ্রামে যোগাযোগ? হাওড়ার যুবকদের গ্রেফতারিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ISIS Terrorist Link: কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাথা হল সাদ্দাম। এই সাদ্দামই অপর গ্রেফতার যুবক সৈয়দ আহমেদকে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করেছিল।

ISIS Terror Link: সিরিয়া, সৌদি আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে টেলিগ্রামে যোগাযোগ? হাওড়ার যুবকদের গ্রেফতারিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 08, 2023 | 12:43 PM

কলকাতা: আইএস জঙ্গি সন্দেহে (ISIS Terrorist Link) শনিবার দুইজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (Kolkata Police STF)। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে বাইক ধাওয়া করে নাটকীয় কায়দায় পাকড়াও করা হয়েছে ওই দুই সন্দেহভাজন যুবককে। যুবকদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ল্যাপটপ, মোবাইল ও বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আইএস-এর সঙ্গে কী যোগসূত্র ছিল ওই যুবকদের, তা তদন্তে করে দেখছে পুলিশ। আর সেই তদন্তেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ সূত্রে খবর, যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মাথা হল সাদ্দাম। এই সাদ্দামই অপর গ্রেফতার যুবক সৈয়দ আহমেদকে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত করেছিল।

২০১৬ সালে সাদ্দাম ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয় বলে সূত্রের খবর। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের ভাবধারা প্রচার করতে শুরু করেছিল। সাদ্দাম ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত। সেখানে কাজ করার আড়ালেই আইএস-এর ভাবধারা প্রচার করত বলে এসটিএফ সূত্রে খবর। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের মোবাইল ও ল্যাপটপ ঘেটে দেখা গিয়েছে, ২০টিরও বেশি টেলিগ্রাম চ্যানেলের সঙ্গে যোগ ছিল। এমনকী সিরিয়া ও সৌদি আরবের সঙ্গেও টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সিরিয়া ও সৌদি আরবের আইএস জঙ্গিদের সঙ্গেও ধৃতদের যোগাযোগ থাকতে পারে।

পাশাপাশি এই দেশেও জঙ্গি সংগঠনের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছিল ওই গ্রেফতার যুবকরা, এমনটাও সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। অর্থ সংগ্রহ ও সংগঠনের জাল বিস্তারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত সাদ্দামের একাধিকবার উত্তর ভারতে যাতায়াতের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সাদ্দাম? সেই তথ্যও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। শিক্ষিত যুবকদের জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করে ভিন দেশে জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটিগুলিতে পাঠানোর দায়িত্ব ছিল সাদ্দামের। এমন তথ্যও উঠে আসছে গোয়েন্দা সূত্রে। সব মিলিয়ে দেশে আইএস জঙ্গি সংগঠনের বড়সড় কোনও পরিকল্পনা ছিল বলেই অনুমান করছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের আধিকারিকরা, সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। সাদ্দামের এই গ্রেফতারি এসটিএফের কাছে একটি বড় সাফল্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন এই সাদ্দামকে কে নিয়োগ করেছিল, সেই মাথা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।