Covid-19 : কোভিড মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি হাসপাতালে, আরজিকরে হয়ে গেল মক ড্রিল

Covid-19 : ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই কোভিড মোকাবিলার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর সে কারণেই আয়োজন করা হয়েছে মক ড্রিল বা প্রস্তুতি মহড়ার।

Covid-19 : কোভিড মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি হাসপাতালে, আরজিকরে হয়ে গেল মক ড্রিল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2022 | 6:15 PM

কলকাতা :  করোনা মোকাবিলায় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে (R G Kar Medical College and Hospital) হয়ে গেল মক ড্রিল। সূত্রের খবর, আরজিকরে ১৬৪টি বেড BF.7 এর মোকাবিলা করার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে ২০টি সিসিইউ, ৩০টি এইচডিইউ বেড। বিকেল তিনটের সময় একেবারে রিয়েল টাইমে হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিড রোগী সাজিয়ে জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে ঢোকার মুখে জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকা কাউন্টারে স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে সাজানো রোগী চলে যান টেস্টিং সেন্টারে। যেখানে ২৪ ঘণ্টা আরটি-পিসিআর, অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর রোগীকে এইচডিইউ বেডে শুইয়ে রেখে পরানো হয় অক্সিজেনের মাস্ক। মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান অনিরুদ্ধ রায় দেখে নেন, অক্সিজেন ঠিক মাত্রায় দেওয়া হচ্ছে কি না। 

প্রসঙ্গত, চিনে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগ বেড়েছে ভারতে। কোভিডের আগের ঢেউগুলিতে দেশের একাধিক রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল। পরিকাঠামো নিয়ে উঠে গিয়েছিল প্রশ্ন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন থেকেই কোভিড মোকাবিলার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। আর সে কারণেই আয়োজন করা হয়েছে মক ড্রিল বা প্রস্তুতি মহড়ার। সূত্রের খবর, এই মহড়ায় কোনও রোগী অংশ নিচ্ছেন না। রোগী ছাড়াই হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসার যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা তা ঝালিয়ে নেওয়া হবে। ভেন্টিলেটর থেকে শুরু করে বেডের কার্যকারিতা সঠিক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে নিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা। ভবিষ্যতে যাতে কোভিড রোগী এলে তাঁকে কম সময়ের মধ্যে সবরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় সেই উদ্দেশেই এই কাজ। 

আরজিকরে শুরুতেই কৃত্রিম ফুসফুস চালিয়ে ভেন্টিলেটর বেডের কার্যকারিতা দেখে নেন অ্যানাস্থেশিয়ার বিভাগীয় প্রধান দীপশ্রী ভট্টাচার্য। বিগত ঢেউয়ে কোভিড ওয়ার্ডগুলিতে অক্সিজেনের অপচয় রুখতে জারি হয়েছিল প্রোটোকল। সেই প্রোটোকল-সহ কোভিড এস‌ওপি সকলের মনে রয়েছে কি না তাও দেখা হয়। কোভিড পরবর্তী পর্বে এক হাসপাতাল থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে গিয়েছেন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই সকল সমস্যা দ্রুত মিটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আরজিকর কর্তৃপক্ষ। আশ্বাস মিলছে কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে কতটা পরিষেবা মেলে এখন সেটাই দেখার।