Tarak Singh: জল যন্ত্রণায় ভুগছে তিলোত্তমা, ক্ষুব্ধ ফিরহাদ, চোখের জল ফেলে ইস্তফার কথা তারকের মুখে
Tarak Singh: নতুন পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা, জার্মানি থেকে পাম্প আনা, সবকিছুর পরেও কলকাতার তথৈবচ অবস্থার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারের প্রবল বৃষ্টিতে শেক্সপিয়র সরনী থেকে ময়দান চত্বর, এক্সসাইড, ক্যামাক স্ট্রিট এলাকায় রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জলযন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে আম-আদমিকে।
কলকাতা: সরকারি সিস্টেম নিয়ে ইতিমধ্যেই আক্ষেপের সুর শোনা গিয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) গলায়। কলকাতা পুরসভার টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে জল জমা নিয়ে এক ব্য়ক্তির অভিযোগ শুনেই সরকারি ব্যবস্থা নিয়ে এদিন বেশ খানিকটা অনুযোগ শোনা যায় ফিরহাদের গলায়। তা নিয়েই এবার জোর চর্চা বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। এদিকে জল জমার সমস্যা নিয়ে যে দফতরের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই নিকাশি দফতরের মেয়র পারিষদ আবার সরাসরি সাংবাদিকদের বললেন তিনি ইস্তফা দিয়ে দেবেন। তিনি নাকি আর কাজই করতে পারছেন না। এমনকী এ কথা বলতে গিয়ে চোখের জলও ফেলতে দেখা যায় তারককে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরনিগমের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে সাম্প্রতিককালে কলকাতা পুরসভার একাধিক পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। সদ্য নবাব আলি পার্কে পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও একটু বৃষ্টিতে কলকাতার নানা প্রান্তে জমে যাচ্ছে জল। রোজই আসছে লাগাতার অভিযোগ। কিন্তু, সুরাহা না হওয়ায় এদিন খানিক আক্ষেপের সুর শোনা যায় ফিরহাদের গলায়। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেলেন তিনি। তিনি নিজেও যে ভুক্তভোগী সে কথাও বলেন।
সহজ কথায়, নতুন পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা, জার্মানি থেকে পাম্প আনা, সবকিছুর পরেও কলকাতার তথৈবচ অবস্থার কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারের প্রবল বৃষ্টিতে শেক্সপিয়র সরনী থেকে ময়দান চত্বর, এক্সসাইড, ক্যামাক স্ট্রিট এলাকায় রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জলযন্ত্রণা পোহাতে হয়েছে আম-আদমিকে। এমনকী একবালপুর-মোমিনপুর এলাকাও ব্যাপকভাবে জলমগ্ন হয়। দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও জল বের হয়নি। বিষয়টি যে ফিরহাদ হাকিম খুব ভালভাবে নেননি তা পরিষ্কার ফিরহাদ হাকিমের কথাতেই। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। এরইমধ্যে তারক বললেন, “অনেক লোকই কাজ পেলে পাস কাটিয়ে যায়। এটা হয়। তবে সবাই করে তা ঠিক নয়। আমি সময় মেনে জল সংক্রান্ত যা বিষয় আসে তার রিপোর্ট পাঠাই মেয়রকে। আমি শুক্রবার থেকে জ্বরে বাড়িতে আছি। তারমধ্যে কালকে রাতে আমি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। যা অ্য়াকশন নেওয়া দরকার আমি নিয়েছি। ফিরহাদবাবু যা বলছেন তা যেমন সত্য, আর আমি ওনাকে যে জায়গাগুলিতে জল জমেনি বলে রিপোর্ট পাঠিয়েছি সেটাও সত্য। ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট সহ অনেক জায়গাতে আগে ব্যাপক জল জমতো। এখন হচ্ছে না আর। সেটা আমি ওনাকে জানিয়েছিলাম। তবে আলাদা করে মোমিনপুরের কথা বলিনি।” এ কথা বলতে বলতেই গলা ধরে আসে তার। চোখ জল নিয়ে খানিক অভিমানের সুরে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না কোনও ভুল আছে। আমি এই জিনিসটা হওয়ার জন্য খুবই কষ্ট পেয়েছি। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমি কালকে ইস্তফা দিয়ে দেব। কারণ আত্ম সম্মানের উপরে কিছু হয় না।”