‘রাজ্যপালকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তা দেখে আমি বিরক্ত’, ধনখড়ের পাশে প্রাক্তন রাজ্যপাল

"রাজ্যপালকে (Governor Jagdeep Dhankhar) যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তা দেখে আমি বিরক্ত..", টুইট তথাগত রায়ের (Tathagata Roy)

'রাজ্যপালকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তা দেখে আমি বিরক্ত', ধনখড়ের পাশে প্রাক্তন রাজ্যপাল
ছবি- PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 29, 2021 | 10:36 AM

কলকাতা: রাজ্যপালকে হেনস্থা করা হচ্ছে। রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) সমর্থনে টুইট প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের (Tathagata Roy)। তিনি টুইটে লেখেন, “পাঁচ বছর রাজ্যপাল ছিলাম। রাজ্য়পালের ক্ষমতা ও এক্তিয়ার সম্পর্কে বিশদে পড়েছি। রাজ্যপাল কি নিজের খুশি মতো নিজের রাজ্যের কোথাও যেতে পারেন না, নাকি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হয়? হতাশ! রাজ্যপালকে যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, তা দেখে আমি বিরক্ত..”

উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নয়। প্রত্যেক ইস্যুতেই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধিতা দেখছে অভ্যস্ত বাংলা। রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য। পাশাপাশি রাজ্যপাল যে বিজেপির সুরে কথা বলে, তা নিয়ে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। এবার রাজ্যপালের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন এক রাজ্যপাল! সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফিরেছেন রাজ্যপাল। জিটিএ-তে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি জানান, জিটিএ অ্যাকাউন্টের অডিট করানো হবে।

উল্লেখ্য, জিটিএ অ্যাকাউন্টের অডিট করানোর দাবি বিজেপি আগেই তুলেছিল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর শেষে সেই একই সুরে সুর মেলালেন। তাঁর বক্তব্য, জিটিএ এলাকায় যে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে, তার অডিট হওয়া বাঞ্ছনীয়। বহুক্ষেত্রেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে সেভাবে উন্নয়নের কাজ হয়নি। এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য, পাহাড়ে যে বোর্ডগুলি কাজ করছে, সেগুলি কোনওটাই নির্বাচিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। জিটিএ গঠিত হয়নি নতুন করে। পঞ্চায়েত, পুরসভার নির্বাচনও এখনও হয়নি। সর্বত্রই রাজ্য সরকারের মনোনীত বোর্ড কাজ করছে। সরকারি অর্থ নিয়ে খরচের ক্ষেত্রে অডিটের দাবি তুলেছেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: ‘প্রেস্টিজ ফেস’ বার্তা! এবার থেকে পোস্টারে দিলীপের পাশাপাশি শুভেন্দুর ছবিও

জিটিএ-তে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির যে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল, তার কঠোর প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্য, “অসাংবিধানিক কথা বলছেন। তদন্তের আগে কীভাবে বলছেন দুর্নীতি হচ্ছে? অডিট তো হচ্ছে। প্রত্যেক বছরই হচ্ছে। পাহাড়ে রাস্তা- শিক্ষা-স্বাস্থ্যে উন্নয়ন হয়েছে। তিনি তা চোখে দেখতে পারছেন না। রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফরের উদ্দেশ্যই হল রাজ্য সরকারকে ছোট করা। পাহাড়ের মানুষকে অসম্মান করলেন রাজ্যপাল।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি সরগরম, ঠিক তখনই রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর অন্য তাৎপর্য বহন করেছিল। রাজ্যপালকে সামনে পেয়েই পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠেছিল পাহাড়ে। ইতিমধ্যেই নাকি আঞ্চলিক দলগুলি রাজ্যপালকে সে কথা জানিয়েছে।