‘প্রয়োজন বুঝেই দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী’, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট জানাল কমিশন

ভোট নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক কমিশনের, কী সিদ্ধান্ত হল?

'প্রয়োজন বুঝেই দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী', মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর স্পষ্ট জানাল কমিশন
সুনীল অরোরা- ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 22, 2021 | 5:00 PM

কলকাতা: কোন মডেলে বাংলায় হবে একুশের নির্বাচন? কত শতাংশ থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী? শুক্রবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসব নিয়ে বৈঠকের পর মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা (Chief Election Commissioner Sunil Arora) স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “ভোটের কয়েক মাস আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। পরিস্থিতি বুঝে দেওয়া হবে। অনেকেই দাবি করেছেন, একশো শতাংশ বুথে বাহিনী দিতে হবে। তা এখনও নির্ধারিত নয়। আমরা প্রয়োজনীয় বাহিনী দেব।”

নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব সহ বিভিন্ন দফতরের সচিবদের বৈঠক হয়। ছিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি ও কলকাতা পুলিস কমিশনার। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে কমিশনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিএসএফ বা অন্য কোনও সেনার হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে না। এদিনের বৈঠকে সিভিক পুলিস ও গ্রিন পুলিসকে ভোটে কাজে লাগানোর বিষয়টিও ওঠে। কমিশন এই শব্দ দুটির সঙ্গে অপরিচিত ছিল। পরে মুখ্যসচিব জানান, রাজ্য চুক্তিভিত্তিক সিভিক পুলিস ও গ্রিন পুলিসকে নিয়োগ করে। তবে কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তাঁদের কোনওভাবেই ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা করব। জেলা পর্যবেক্ষকদের নম্বর সবাইকে দেওয়া হবে। তাঁরা যে ফিড ব্যাক দেবেন, তারপর আমরা ভিসিট করব।”

কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার, কালো টাকা ইত্যাদি অভিযোগ জমা পড়েছে। সেগুলি গুরুত্ব সহকারে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে একুশের নির্বাচনকে মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক বুথে ভোট দেবেন হাজার ভোটার, আগে তা ছিল দেড় হাজার। এরফলে বুথ বাড়বে ২২ হাজার।

বাংলায় তিন জন পর্যবেক্ষক আসবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। একজন সাধারণ পর্যবেক্ষক, একজন ব্যয়সংক্রান্ত বিষয়টি দেখবেন, অপরজন নজরে রাখবেন আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি।

আরও পড়ুন: ঠিক কী ঘটনার প্রেক্ষিতেই মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত? ফাঁস করলেন রাজীব

উল্লেখ্য, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতা পুলিসের কাজে কমিশনের কর্তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি বলেই খবর। এর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও কমিশনের কাছে নানা অভিযোগ জমা পড়ে। কমিশন তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছে বলে জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীর আরোরা।