Dumdum Manhole: খোলা ছিল ম্যানহোলের মুখ, পূর্ত দফতরে জমা পড়ল রিপোর্ট

Dumdum Manhole: শনিবার সকালে খোলা ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় দমদমের বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় অটোচালক রঞ্জন সাহার।

Dumdum Manhole: খোলা ছিল ম্যানহোলের মুখ, পূর্ত দফতরে জমা পড়ল রিপোর্ট
খোলা ম্যানহোল। নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 1:31 PM

কলকাতা: খোলা ম্যানহোল নিয়ে অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট জমা পড়ল পূর্ত দফতরে। দমদমে ম্যানহোলের মুখ খোলা ছিল বলে রিপোর্ট বলা হয়েছে। ম্যানহোলে পড়ে যাওয়া আটকাতে আরও বেশি নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দফতর। কংক্রিটের স্ল্যাব দিয়ে খোলা ম্যানহোল বন্ধ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিকে, দমদমে ম্যানহোলে পড়ে অটো চালকের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। চিৎপুর থানায় এই মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও মৃতের পরিবারের তরফে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

শনিবার সকালে খোলা ম্যানহোলের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় দমদমের বেদিয়াপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় অটোচালক রঞ্জন সাহার। ম্যানহোলে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের হাতে ময়না তদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট আসে, তার ভিত্তিতেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ময়না তদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট পুলিশের হাতে এসেছে, তাতে বলা হয়েছে মাথায় আঘাত রয়েছে ওই অটো চালকের।

এ ছাড়া নাকে, মুখে এবং শ্বাসনালীতে কাদা পাওয়া গিয়েছে। ম্যানহোলে যে কাদা তা রঞ্জনের নাকে, মুখে, শ্বাসনালীতে আটকে ছিল বলেই ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। রঞ্জনের মাথা নীচে এবং পা ওপর দিকে ছিল বলেই পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ময়না তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পুলিশের কাছে আসেনি। পাশাপাশি নিহতের পরিবারও কোনও অভিযোগ জানায়নি।

পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, কোনও রকম অভিযোগ এলে তার ভিত্তিতে তদন্ত হবে। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলারই তদন্ত চলবে। ইতিমধ্যেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।

রবিবারই নিহত রঞ্জন সাহার বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “কলকাতার শহর জুড়ে ম্যানহোলের মরণফাঁদে বারবার দুর্ঘটনা, মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নির্বিকার। সাধারণ মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে? ভুল কার না কার তা তো সকলেই বুঝতে পারছে। রাস্তা পিডব্লুডির হলেও, তাদের রাস্তায় ম্যানহোলের ঢাকনা নেই সেটা চিঠি দিয়ে জায়গা মতো জানানোর দায়িত্ব কাউন্সিলর বা কোঅর্ডিনেটরের। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন বলে আমার মনে হয় না। চারটে ম্যানহোল ওই এলাকাতেই নাকি ফাঁকা পড়ে আছে। মাঝে নাকি সেগুলি ঢাকার চেষ্টা হয় পিচবোর্ড দিয়ে। এটা সরকার চলছে না সার্কাস চলছে বোঝা যায় না।”

পাল্টা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, দোষারোপ না করে সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পুলিশকে বলেছি, বিষয়টা দেখতে। বিশ্বাস করবেন না আপনারা ওই গর্তটা চার ফুটের মতো বড় জোর গভীর হবে। সেখানে পড়ে যে কেউ মারা যাবে ভাবতেও পারছি না। ভদ্রলোকের কোনও অসুস্থতা ছিল কি না, কিংবা অস্বাভাবিক কিছু ব্যাপার ছিল কি না পুলিশকে বলেছি নির্ধারণ করার জন্য।”

আরও পড়ুন: School Reopening: জরাজীর্ণ স্কুলে কীভাবে পঠনপাঠন, কতটা কার্যকর হবে কোভিড গাইডলাইন? দুশ্চিন্তা জিইয়েই খুলছে স্কুল