২০২২-এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে? পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল খবর
Higher Secondary Examination: সিবিএসই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা একই শিক্ষাবর্ষের শেষে দু’ভাগে নেবে বোর্ড।
কলকাতা: মার্চের দ্বিতীয় তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে হতে পারে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Examination)। সংসদ ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব শিক্ষা দফতরে পাঠিয়েছে । ছাত্র ছাত্রীরা রুটিন নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে।
প্রত্যেক বারই রেজাল্ট প্রকাশের পরই পরের বছরের সূচি বলে দেওয়া হয়। কিন্তু এবার করোনা আবহে তা সম্ভব হয়নি। আদৌ পরীক্ষা অফলাইনে হবে না অনলাইনে, তা নিয়ে এমনিতেই উত্কন্ঠায় রয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। ছাত্রছাত্রীদের কাছে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। তবে সংসদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই একটি প্রস্তাবিত রুটিন পাঠানো হয়েছে।
সেই রুটিন পর্যালোচনা করে উচ্চ শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেবে। সংসদের প্রস্তাবকে মান্যতা দেওয়া যায় কিনা, তা না হলে কোন পথে হাঁটা যায়, কবে পরীক্ষা নেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। সংসদ জানিয়েছে, মার্চ মাসের তৃতীয় কিংবা চতুর্থ সপ্তাহে যাতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা করানো যায়। এই সময়টার ওপর নজর দিতে বলা হয়েছে।
তবে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় একাধিক বদলও আসতে পারে। দায়িত্ব পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নব নিযুক্ত সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি মনে করেন, একটি পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন না করে, পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। তাতে অনেক বেশি মেধার ভিত্তিতে একজন পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন সম্ভব। এর আগে অবশ্য এই সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে সিবিএসই, আইসিএসসি।
সিবিএসই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা একই শিক্ষাবর্ষের শেষে দু’ভাগে নেবে বোর্ড। দুটি পরীক্ষা হবে দু’রকম ভাবে। প্রথম দফার পরীক্ষা হবে ফ্লেক্সিবল শিডিউলে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমনকী বিদেশেও যে সব স্কুল রয়েছে, তাদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই এই ব্যবস্থা। দ্বিতীয় দফায় কোথায় পরীক্ষা হবে, মানে কোথায় কে পরীক্ষা দিতে যাবে, তা স্থির করে দেবে বোর্ড। প্রশ্নপত্র দু’ঘণ্টার।
ঠিক এরকম পন্থায় না হলেও, কেবল যে একটি মাত্র পরীক্ষার মাধ্যমের পরীক্ষার্থীর মূল্যায়ন করতে চাইছে না উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদও, সেটা স্পষ্ট করে দেন তিনি। সিবিএসই অবশ্য একাধিক নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। নব নিযুক্ত সভাপতি অবশ্য এতটাও বিস্তারিত আলোচনা করেননি এ বিষয়ে। চিন্তাভাবনা একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে।
চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “একটা পরীক্ষা না করে পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা নেওয়া হলে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন অনেক বেশি সূক্ষ্ম হবে।” উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিকের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, টেস্ট পরীক্ষার পরই বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষা নেয়। কোভিড পরিস্থিতিতে মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করছে পর্ষদ, সংসদ এবং শিক্ষা দফতর।
তবে পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষার পক্ষে মত দিচ্ছেন অনেক শিক্ষাবীদই। তাঁদের মতে, পরীক্ষার্থীরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের মধ্যে থাকবে। তাঁদের অনুশীলন আরও বেশি সূক্ষ্ম থাকবে। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক সময়েই সঠিক মূল্যায়ন নির্ধারিত হয়। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর ওপর ধারাবাহিক নজর থাকবে শিক্ষকদেরও। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা অনেক বেশি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সেটি যাতে তাদের ওপর বাড়তি চাপ না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষাবীদরা।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবীদ পবিত্র সরকার বলেন, “প্রশাসনিক স্তরে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয় ভেবেচিন্তে একথা বলছেন। এতে পরীক্ষার্থীদেরও সুবিধা হয়, প্রশাসনিক স্তরেও সুবিধা হয়। কারণ চূড়ান্ত মূল্যায়ন তো সংসদ থেকেই হবে।” এদিন, পরীক্ষা পদ্ধতির নয়া পরিকল্পনার পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের রিভিউ সমস্যা মেটানোরও একশো শতাংশ আশ্বাস দিয়েছেন নতুন সভাপতি। আরও পড়ুন: চাপের মুখে কোন অভিযোগ নথিভুক্ত হয়নি? জানতে এবার NHRCকে চিঠি সিবিআই-এর