Kuntal Ghosh: শিয়ালদা স্টেশনে ভেরিফিকেশন, হাসপাতাল থেকে আসত মেডিকেল টিম! রেলেও চাকরি দিত কুন্তল

Kuntal Ghosh: একেবারে প্রতারণায় ফাঁস পেতেছিলেন কুন্তল। ধাপে ধাপে প্রতারণার সিঁড়িতে উঠে তুলে নিতেন লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রথমে ক্যান্ডিডেটের কাছ থেকে নথি নেওয়া হত।

Kuntal Ghosh:  শিয়ালদা স্টেশনে ভেরিফিকেশন, হাসপাতাল থেকে আসত মেডিকেল টিম! রেলেও চাকরি দিত কুন্তল
কুন্তল ঘোষ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2023 | 1:57 PM

কলকাতা: কুন্তল না শান্তনু, নিয়োগ দুর্নীতির বড় চাঁই কে? দুর্নীতির পোডিয়ামে কার ঠাঁই কোথায়? এই নিয়ে তর্কের তুফান চলতে চলতেই বিস্ফোরক খবর সামনে। শুধু স্কুলে নয়, রেলেও চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন কুন্তল। কত টাকা? চাকরি পিছু ১২ লক্ষ, হুগলির এক ভুক্তভোগীর বয়ান টিভি নাইন বাংলার কাছে। দেখুন সুপার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট। কুন্তল ঘোষের নিজেরই প্রোডাকশন হাউজ় রয়েছে। কত অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালকের সঙ্গে ওঠাবসা। কুন্তল কি জোচ্চুরি আনলিমিটেড নামে কোনও সিনেমা বানাতে চেয়েছিলেন? যে মাপের দুর্নীতি, জোচ্চুরি সামনে আসছে, তাতে তেমনই প্রশ্ন আসে। কুন্তলের বিরুদ্ধে আরও একটা টাটকা অভিযোগ। ‘কীর্তিমান’ কুন্তল নাকি রেলেও চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিলেন। শুধু স্কুলে নয়, রেলেও, কেবল রাজ্য সরকারি চাকরি নয়, কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতেও নাতি তাঁর হাত রয়েছে! অভিযোগ তো তেমনই। শিয়ালদা স্টেশনে ফাইনাল ভেরিফিকেশন, হাসপাতালে মেডিক্যাল, প্রার্থীর কাছে পৌঁছে যায় ফেক ইমেলও। এবার রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে কুন্তলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠছে, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রার্থী পিছু ১২ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন কুন্তল। নিজেকে ইস্টার্ন জোনের এগজিকিউটিভ বলেও পরিচয় দিয়েছিলেন কুন্তল, ছাপানো হয়েছিল কার্ডও। এরকমই এক ভুক্তভোগীর হুগলির বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন TV9 বাংলার প্রতিনিধি। ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি জানতাম যে ও কয়েকজন গ্রুপ ডি, স্কুলের চাকরি করে দিয়েছে। আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তো কথায় কথায় আমিও জিজ্ঞাসা করি। বলেছিল ঠিক আছে রেলের চাকরি করে দেব। ১২ লক্ষ টাকা লাগবে। প্রথমদিকে বিশ্বাস হয়নি। তারপর মেলটা যখন এল, আমার একটু বিশ্বাস হল। মনে হল হলেও হতে পারে এটা। আমি প্রথমে পাঁচ লক্ষ টাকা দিই। তারপর চাকরি হলে বাকি টাকা দিতে হত।”

একেবারে প্রতারণায় ফাঁস পেতেছিলেন কুন্তল। ধাপে ধাপে প্রতারণার সিঁড়িতে উঠে তুলে নিতেন লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রথমে ক্যান্ডিডেটের কাছ থেকে নথি নেওয়া হত। তারপর চাকরি সংক্রান্ত ফেক ই-মেল আসল রেলওয়ে লেখা সাইট থেকে পাঠানো হত। ই-মেল এলেই দাবি করা হত ৫ লক্ষ টাকা। মেডিক্যালের জন্য ডাকা হত শিয়ালদা লাগোয়া একটি হাসপাতালে। সেখানে হত ব্লাড টেস্ট। এরপর শিয়ালদহের গেস্ট হাউসে ফাইনাল ভেরিফিকেশন হওয়ার কথা ছিল।

ওই ভু্ক্তভোগী বলেন, “ফাইনাল ভেরিফিকেশনের জন্য আমাকে ডাকার কথা ছিল শিয়ালদা স্টেশনে। আমি আর যাইনি। তার আগেই বলেছিলাম, চাকরি লাগবে না, টাকা ফেরত দিন।” ‘রেলওয়ে.গভ.ইন’ থেকে ই-মেল পাঠিয়ে আসলে কুন্তল নিজের ক্ষমতা জাহির করতে চেয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, “রেলের নিয়োগ তো কেবল আরআরই ও আরআরসি-র মাধ্যমেই হয়। অন্য কোনওভাবে হয় না। আমি দেখিনি কী কাগজ পাওয়া গিয়েছে, তা না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”