‘শূন্য’ বাংলার কাঁধেই গুরু দায়িত্ব! DYFI-র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ‘সেলিম ঘনিষ্ঠ’ হিমঘ্ন, সভাপতি কেরলের রহিম

DYFI: ছাত্র আন্দোলন দিয়ে রাজনীতিতে পা হিমঘ্নরাজের। পড়াশোনা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের উপর। ২০১০ সালে যুব আন্দোলনে প্রবেশ করেন তিনি।

‘শূন্য’ বাংলার কাঁধেই গুরু দায়িত্ব! DYFI-র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ‘সেলিম ঘনিষ্ঠ’ হিমঘ্ন, সভাপতি কেরলের রহিম
ছবি- ডিওয়াইএফআই-র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে সুজন-সেলিম ঘনিষ্ট হিমঘ্ন। দায়িত্বে কেরলের বাম নেতা এ এ রহিম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 15, 2022 | 6:15 PM

কলকাতা: গত ১২ মে থেকে সল্টলেকের ইজেডসিসিতে চলছিল ডিওয়াইএফআই (DYFI)-এর সর্বভারতীয় সম্মেলন। ১৫ তারিখে সংগঠনের নতুন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার সঙ্গে শেষ হল এ বারের কর্মসূচি। সংগঠনের মাথায় বসলেন বাংলা ও কেরলের দুই নেতা। যা নিয়ে সিপিএমের অন্দরে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। ডিওয়াইএফআইয়ের ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলন থেকে নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হলেন কেরলের রাজ্যসভার সাংসদ এ এ রহিম এবং সাধারণ সম্পাদক হলেন বাংলার যুব নেতা হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বাংলায় পালাবদলের পর থেকেই বঙ্গ বামের অবস্থা ক্রমেই আরও খারাপ হয়েছে। এমনকি শেষ বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি সিপিএম। কিন্তু তারপরেও বাংলার উপরেই যে ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় কমিটি, তা হিমঘ্নর নতুন দায়িত্ব গ্রহণেই স্পষ্ট। প্রসঙ্গত, ডিওয়াইএফআই-র গুরু দায়িত্ব দেওয়া হলেও এখনও সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে নাম নেই হিমঘ্নর। এমনকি সুজন-সেলিম ঘনিষ্ট এই বাম নেতার রাজ্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এর আগে বিস্তর চাপান-উতর তৈরি হয়। কেন তাঁকে রাজ্য কমিটিতে রাখা হচ্ছে না? রাজ্য কমিটির রদবদলের সময় এই প্রশ্নও বড় মাত্রায় মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল। কিন্তু তখন দলীয় নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছিল, আরও বড় দায়িত্বের জন্যই তাঁকে আপাতত কমিটিতে রাখা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলন দিয়ে রাজনীতি শুরু হিমঘ্নরাজের। পড়াশোনা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের উপর। ২০১০ সালে যুব আন্দোলনের মাধ্যম দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। শুরুতে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন বা এসএফআইয়ের যাদবপুর ২ নম্বর জ়োনাল কমিটির সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। একই সঙ্গে ডিওয়াইএফআই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন দলের এই সর্বক্ষণের কর্মী। পরবর্তীতে ডিওয়াইএফআই-এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও হয়েছেন তিনি। এই হিমঘ্ন এ বার একেবারে সংগঠনের মাথায়।

অন্য দিকে হিমঘ্নর মতো ছাত্র-যুব আন্দোলন থেকেই উঠে এসেছেন এ এ রহিম। আইনের পাশাপাশি পড়াশোনা করেছেন সাংবাদিকতা নিয়ে। বর্তমানে প্রিন্ট মিডিয়া ও ইসলামিক মিডিয়া নিয়ে গবেষণা করছেন কেরলের এই রাজ্যসভার সাংসদ। তবে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার আগে লড়েছেন কেরলের বিধানসভা নির্বাচনেও। কেরলের যুব শাখার সম্পাদকের দায়িত্ব যখন তাঁর কাঁধে তখন পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও করেছেন নানা কাজ। কেরলের ‘রিসাইকেল কেরল’ আন্দোলনের নেতৃত্বও দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তিনিই এ বার ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্বে। যদিও এর আগেও এই পদে ছিলেন তিনি। এমতাবস্থায়, কেরল-বাংলার এই জুটির হাত ধরে আগামীতে দেশব্যাপী বাম যুবদের শক্তি কতটা বৃদ্ধি পায় এখন সেটাই দেখার।